ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক ফেব্রুয়ারির আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে শঙ্কায় ফেলার চেষ্টাকারীদের কঠোরভাবে রুখে দেওয়ার জন্য সতর্ক করেছেন।
রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘প্রশাসনের বিভিন্ন জায়গায় এখনো আওয়ামী ফ্যাসিবাদদের স্বপদে বহাল রেখে নির্বাচন কি সম্ভব’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এই বার্তা দেন।
ফারুক বলেন, “যারা এখনও কিছু দলকে মাঠে নামিয়ে নির্বাচন বানচালের সঙ্গে জড়িত এবং দুর্নীতিগ্রস্থ, তারাই ২০১৪ সালের নির্বাচনে বিএনপিকে পরাজিত করতে সহায়তা করেছে। তারা এখন আবার ফেব্রুয়ারির নির্বাচনকে শঙ্কায় ফেলার চেষ্টা করছে। তাদের কঠোরভাবে রুখে দিতে হবে।”
তিনি আরও যোগ করেন, “যদি ডাকসু ও জাকসুর মতো প্রতিফলন জাতীয় নির্বাচনে ঘটে বলে মনে করেন, তাহলে এই ধরনের পদ্ধতি ভুলে জনগণের মতের সুযোগ দিতে হবে এবং নির্বাচনে অংশ নিতে হবে।” ফারুকের কথায়, জনগণের স্বাধীন ভোটাধিকার রক্ষার জন্য সব প্রকারের ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে হবে।
বিএনপির এই উপদেষ্টা বলেন, “আগের মতো ২০ দলীয় জোট করতে চাই, ঐক্য ধরে রাখতে চাই। যদি কেউ ঐক্য বিনষ্ট করতে চায়, তাহলে এর দায় তাদেরই নিতে হবে।” এর মাধ্যমে তিনি দলীয় ঐক্য রক্ষা এবং নির্বাচনকে মুক্ত ও সুষ্ঠুভাবে আয়োজনের জন্য পক্ষপাতিত্বহীন ও স্বচ্ছ পরিবেশ সৃষ্টির ওপর জোর দিয়েছেন।
ফারুকের এই মন্তব্য রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে আসে, যেখানে সরকারের বিভিন্ন প্রশাসনিক পদে আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠরা এখনও দায়িত্বে আছেন। তার ভাষ্য অনুযায়ী, এই অব্যাহত অবস্থার কারণে জাতীয় নির্বাচনের পরিবেশ শঙ্কিত হতে পারে। বিএনপি ও তার সমর্থকরা মনে করছেন, ভোটাধিকার রক্ষায় জনগণের সচেতন অংশগ্রহণ ও ঐক্যবদ্ধ পদক্ষেপই একমাত্র সমাধান।
ফারুকের বক্তব্য থেকে স্পষ্ট, ফেব্রুয়ারির নির্বাচনকে শঙ্কায় ফেলা হলে তা প্রতিহত করতে দলের ঐক্য ও জনগণের অংশগ্রহণ অপরিহার্য। এ ছাড়া, ২০১৪ সালের নির্বাচনের অভিজ্ঞতা বিএনপিকে সতর্ক করেছে যে, নির্বাচনে প্রতিটি ধাপ সঠিকভাবে পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, “যারা জনগণের মতকে বাধাগ্রস্ত করতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে জনগণই প্রধান শক্তি। তাই ভোট বানচালের যে কোনো চেষ্টাকে প্রতিহত করার দায়িত্ব শুধু দল নয়, জনগণেরও।”