ঢাকা: স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবু জাফর বলেছেন, রোগীরা অনেক সময় দেরিতে হাসপাতালে আসছেন। খারাপ অবস্থায় ভর্তি হচ্ছেন। ফলে চিকিৎসা দেওয়ার সুযোগ কমে যাচ্ছে। এই রোগ যদি শুরুতেই চিহ্নিত করা না যায়, সময়মতো চিকিৎসা শুরু না হয়, তাহলে মৃত্যুর ঝুঁকি বহুগুণ বেড়ে যায়।
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ সব কথা বলেন তিনি।
ডা. আবু জাফর বলেন, মৃত্যুর পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ডেঙ্গুতে যারা মারা গেছেন তাদের অনেকেই হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই মৃত্যুবরণ করেছেন। ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার পরপরই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া দরকার। প্রয়োজনে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি হলে কমতে পারে মৃত্যুর হার।
তিনি বলেন, গত কয়েক দিনে ডেঙ্গুর প্রকোপ কিছুটা বেড়েছে। প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে এমনটা দেখা যায়। বর্তমানে যে পরিস্থিতি চলছে এবং আমরা যে ব্যবস্থাপনা নিচ্ছি সেটি আপনাদের সামনে তুলে ধরার মূল উদ্দেশ্য জনগণকে সচেতন এবং ব্যবস্থাপনার সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ত করা। কারণ যত ব্যবস্থাপনাই নেওয়া হোক না কেন জনগণ যদি সচেতন না হয়, তাহলে ডেঙ্গুর মতো সংক্রামক রোগ থেকে পরিত্রাণ পাওয়া খুব কঠিন।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক জানান, ডেঙ্গু শনাক্তে ব্যবহৃত এনএস১-কিট সব জায়গায় রয়েছে এবং পর্যাপ্ত মজুদ আছে। সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে থাকা পরিচালক এবং হাসপাতাল ব্যবস্থাপনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাও এ বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরবেন।
অধ্যাপক জাফর বলেন, আমাদের কাছে প্রকাশিত খবরে এসেছে, ২৪ ঘণ্টায় ১২ জন মারা গেছেন। প্রকৃতপক্ষে এর ৯ জনই মারা যান বৃহস্পতিবার। কিন্তু শুক্রবার সরকারি ছুটি থাকায় মৃত্যুর সঠিক সংখ্যা সেদিন প্রকাশ পায়নি। এতে বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে। এটা আমাদের ব্যর্থতা।