ফ্রান্স এবার ফিলিস্তিনকে আলাদা দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিতে যাচ্ছে। এর আগে ব্রিটেন, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও পর্তুগালও স্বীকৃতি দিয়েছে। ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ মনে করেন, ফিলিস্তিনকে দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিলে মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ফিরবে।
ডয়চে ভেলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে— ব্রিটেন, ক্যানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও পর্তুগালের পর ফিলিস্তিনকে আলাদা রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে চলেছে ফ্রান্স। জাতিসংঘের অধিবেশনে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার কথা আগে থেকেই জানিয়েছে ফ্রান্স ও বেলজিয়াম।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ ইঙ্গিত দিয়েছেন যে সোমবার তিনি সৌদি আরবের মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের দ্বিরাষ্ট্র সংক্রান্ত সমাধানের বিষয়ে একটি বৈঠকে যোগ দেবেন। মাক্রোঁর কথায়, ‘‘তারা একটি রাষ্ট্র চায়, আমাদের তাদের হামাসের দিকে ঠেলে দেওয়া অনুচিত।’’ তার দাবি, দ্বিরাষ্ট্র বিষয়ক সিদ্ধান্ত সফল হলে ক্ষমতা কমবে হামাসের। তিনি আরও বলেন, হামাস কর্তৃক ইসরায়েলি পণবন্দিদের মুক্তি ফিলিস্তিনে ফ্রান্সের দূতাবাস খোলার পূর্বশর্ত হিসেবে রাখা হবে।
এই বিষয়ে সোমবারই জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়োহান ভাডেফুল বলেন, ‘‘আলোচনার মাধ্যমে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান হলে ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনিদের শান্তি ও নিরাপত্তার সঙ্গে বসবাসের সুযোগ তৈরি করবে।’’ তার কথায়, ‘‘জার্মানির ক্ষেত্রে ফিলিস্তিনকে আলাদা রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়টি দ্বিরাষ্ট্র সমাধান প্রক্রিয়ার শেষে আসবে। তবে এই প্রক্রিয়াটি এখনই শুরু হতে হবে।’’
এদিকে জার্মানির বামপন্থি দলের দাবি, জার্মানির দ্রুত ফিলিস্তিনকে আলাদা রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া উচিত। চ্যান্সেলর ফ্রিডরিশ ম্যার্ৎসকে সেই বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানিয়েছে তারা। যদিও বার্লিন মনে করে, ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতির দেওয়ার সঠিক সময় এখনও আসেনি।