Thursday 25 Sep 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ট্রাইব্যুনালে সাক্ষী
জুলাই আন্দোলনে সর্বোচ্চ ক্ষমতা প্রয়োগে গুলির নির্দেশ দেন হাবিব

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৮:১৯ | আপডেট: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ২০:৪৫

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ফাইল ছবি

ঢাকা: ‘আমি বারবার…বলেছি, নির্দেশ দিয়েছি, আপনাদের স্বাধীনতা দিয়েছি যেখানে যেমন সিচুয়েশনে, সেভাবে… আপনারা করবেন আপনারা নিলিং পজিশনে গিয়ে হাঁটু গেঁড়ে, হাঁটু গেঁড়ে কোমরের নিচে আপনারা গুলি করে দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনবেন।’ জুলাই-আগস্ট আন্দোলন দমনে ওয়্যারলেস বা বেতার বার্তায় এভাবেই অধস্তনদের সর্বোচ্চ ক্ষমতা প্রয়োগের নির্দেশনা দিয়েছিলেন ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমান।

মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেলে সেই বেতার বার্তাটি শোনানো হয়। একইসঙ্গে পুরো ঘটনার বর্ণনা দেন এএসআই কামরুল হাসান।

বিজ্ঞাপন

জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ৫০তম সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দিয়েছেন তিনি। এএসআই কামরুল ওয়্যারলেস অপারেটর হিসেবে ডিএমপির ক্রাইম কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টারে কর্মরত রয়েছেন। জুলাই আন্দোলন চলাকালেও তিনি একই পদে কর্মরত ছিলেন।

কামরুল বলেন, ‘‘২০২৪ সালের ১৭ জুলাই ওয়্যারলেসে নির্দেশ দেন ডিএমপির তৎকালীন কমিশনার হাবিবুর রহমান। তিনি বলেন, আমাদের সকল অফিসার যে যেখানে আছেন, ডিউটি করছেন, আমাদের নিজের জীবনসম্পদ রক্ষা, অফিস আদালত রক্ষা, জনগণের জীবন সম্পদ রক্ষার জন্য আপনার সর্বোচ্চ ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারেন।’’

সাক্ষী আরও বলেন, ‘যেদিন ডিএমপি কমিশনার এই গুলির নির্দেশনা দেন, সেদিন ঢাকায় গুলি করার জন্য তেমন কোনো পরিস্থিতি ছিল না। তবু তিনি এই নিদর্শনা দিয়েছিলেন।’

সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে কামরুলকে জেরা করেন শেখ হাসিনা ও কামালের পক্ষে সরকারি খরচে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন।

এদিন ট্রাইব্যুনালের বিচারকার্যের শুরুতে ৪৫ নম্বর সাক্ষী হিসেবে দেওয়া অবশিষ্ট সাক্ষ্য দেন শাহেদ জোবায়ের লরেন্স। এরপর ৫০তম সাক্ষীর সাক্ষ্য শুরু হয়। জব্দ তালিকার সাক্ষী হিসেবে আরও দুজন সাক্ষ্য দেন আজ। তারা হলেন- আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার রেকর্ড ও লাইব্রেরি ইনচার্জ মো. কামরুল হোসাইন ও আনিসুর রহমান। তাদের জেরা স্টেট ডিফেন্স আইনজীবী।

ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম। সঙ্গে ছিলেন প্রসিকিউটর ফারুক আহাম্মদ, প্রসিকিউটর আবদুস সাত্তার পালোয়ানসহ অন্যরা।

এর আগে, ২২ সেপ্টেম্বর ৪৯তম সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দেন শহিদ মাহামুদুর রহমান সৈকতের বোন সাবরিনা আফরোজ সেবন্তী। এর মধ্য দিয়ে ঘটনার সাক্ষ্য সম্পন্ন করেন প্রসিকিউশন। জব্দ তালিকার সাক্ষীসহ তদন্ত কর্মকর্তার জবানবন্দি নেওয়ার পরই শেষ হবে এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের পর্ব। এরপর যুক্তিতর্ক ও রায়ের পালা।

এদিকে, আজ সকালেও ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয় মানবতাবিরোধী অপরাধের এ মামলার অন্যতম আসামি থেকে রাজসাক্ষী হয়ে জবানবন্দি দেওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে। তার উপস্থিতিতেই জবানবন্দি দিচ্ছেন সাক্ষীরা।

সারাবাংলা/আরএম/এইচআই

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল জুলাই আন্দোলন হাবিবুর রহমান

বিজ্ঞাপন

‘ইউনূস সাহেব বৈষম্য সৃষ্টি করেছেন’
২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০০:৩১

আরো

সম্পর্কিত খবর