জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলে (ইউএনএইচআরসি) পাকিস্তানকে তীব্র আক্রমণ করে ভারতীয় কূটনীতিক ক্ষিতিজ ত্যাগী বলেছেন, আমাদের ভূখণ্ড নিয়ে লোভ না করে, তাদের উচিত অবৈধ দখলে থাকা ভারতীয় ভূখণ্ড খালি করা এবং নিজেদের লাইফ সাপোর্টে থাকা অর্থনীতি, সামরিক প্রভাব দ্বারা শৃঙ্খলিত রাজনীতি এবং নির্যাতনের কলঙ্কে দাগযুক্ত মানবাধিকার রেকর্ডকে উদ্ধার করার দিকে মনোযোগ দেওয়া।
মানবাধিকার কাউন্সিলের ৬০তম অধিবেশনে তিনি এসব কথা বলেন। বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।
তিনি আরও বলেন, ‘পাকিস্তান যদি সন্ত্রাস রফতানি, জাতিসংঘের নিষিদ্ধ সন্ত্রাসীদের আশ্রয় দেওয়া এবং নিজেদের জনগণের ওপর বোমা ফেলার মতো কাজ থেকে সময় পায়, তবে তারা হয়তো এটা করতে পারবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘‘ইসলামাবাদ নিজেদের জনগণের ওপর বোমা ফেলছে। একইসঙ্গে আন্তর্জাতিক মঞ্চকে ভারতের বিরুদ্ধে ‘ভিত্তিহীন ও উসকানিমূলক’ অভিযোগ ছড়ানোর জন্য ব্যবহার করছে।’’
ভারতের এই সমালোচনা এমন এক সময়ে এলো, যখন একদিন আগেই পাকিস্তানি বিমান বাহিনী খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের তিরহ উপত্যকার মাত্রে দারা গ্রামে নিজেদের জনগণের ওপর বোমা ফেলেছিল। ওই হামলায় নারী ও শিশুসহ অন্তত ৩০ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হন।
পাকিস্তানি বিমান বাহিনী চীনের তৈরি জে-১৭ যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে রাত ২টার দিকে একটি গ্রামে আটটি চীনা তৈরি এলএস-৬ বোমা, যা লেজার-গাইডেড নির্ভুল যুদ্ধাস্ত্র, ফেলেছিল।
এই ঘটনায় স্থানীয় সম্প্রদায়গুলোর মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে, যারা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সন্ত্রাসী হামলার বৃদ্ধির কারণে এমনিতেই উদ্বিগ্ন ছিল। গত সপ্তাহে, প্রদেশের সোয়াত উপত্যকার মিঙ্গোরা শহরে হাজার হাজার মানুষ একত্রিত হয়ে সরকারের কাছে দ্রুত শান্তি ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়েছিল।
খাইবার পাখতুনখোয়া পাকিস্তানের একটি প্রত্যন্ত এবং পাহাড়ি অঞ্চল, যেখানে সন্ত্রাসীদের আস্তানা রয়েছে। এটি এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধক্ষেত্র, যেখানে পাকিস্তানি সরকার নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করছে।