চট্টগ্রাম ব্যুরো: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ সীমানায় জাতি, ধর্ম, বর্ণ, সংস্কৃতি ও ইতিহাস নির্বিশেষে সবাই সংবিধান অনুযায়ী সমান নাগরিক। তাই সংখ্যালঘু বলে কিছু নেই। যদি সংবিধান আপনাকে সমান অধিকার দেয়, তাহলে সংখ্যালঘু ধারণা সাংঘর্ষিক। এটা হতে পারে না। আমাদের সকলকে এটি মাথায় রাখতে হবে।
সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাতে নগরীর জেএমসেন হলে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘আগামীর বাংলাদেশে আমরা সকলে সমানভাবে আমাদের সাংবিধানিক অধিকার ভোগ করব। ধর্মীয় অনুষ্ঠান উৎসবমুখর ও আনন্দঘন পরিবেশে পালন করব, এটাই আমার অঙ্গীকার। বিভিন্ন ধর্মের উৎসবে সকলে যেন অংশ নিতে পারি, সেই চর্চা গড়ে তুলতে হবে। অতীতের ভুলত্রুটি নিয়ে মাথা ঘামানোর চেয়ে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়ার দিকে মনোযোগী হতে হবে।’
দলের নীতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন— ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার। এটি কোনো পলিটিক্যাল স্টেটমেন্ট নয়, বরং দলের নীতি ও সাংবিধানিক অধিকার থেকে বলা হয়েছে। একইভাবে ধর্ম যার যার, নিরাপত্তা সবার- এটিও পলিটিক্যাল স্টেটমেন্ট নয়, বরং নীতি ও অধিকার থেকে বলা।’
‘আমরা যে অবস্থায় থাকি না কেন, কারও নাগরিক অধিকার হরণ করার অধিকার আমাদের নেই। সংবিধান সকলকে সমান অধিকার দিয়েছে, কারও বেশি বা কম নয়। দেশ পরিচালনায় ও দৈনন্দিন জীবনেও এটি মাথায় রাখতে হবে।’
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উদ্দেশ্যে খসরু বলেন, ‘দুর্গোৎসব শুধু একটি ধর্মীয় উৎসব নয়, এটি এখন দেশের সংস্কৃতিরও অংশ হয়ে গেছে। এ উৎসবকে যেভাবে বলা হয় সার্বজনীন, আসলে সেটি কেবল সার্বজনীন না, বরং আমাদের সংস্কৃতির একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ।’
দুর্গোৎসব নিয়ে শৈশবের স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, ‘আমরা যখন ছোট ছিলাম, তখন এত মণ্ডপ ছিল না। শহরে সীমিত কিছু মণ্ডপ ছিল। আমার বাড়ি কাট্টলী, সেখান থেকে কৈবল্যধাম ছিল আমাদের কাছের মণ্ডপ। আমরা সেখানে যেতাম এবং বিভিন্ন উৎসবে যোগ দিতাম।’
চট্টগ্রাম মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অর্পণ কান্তি ব্যানার্জির সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নিখিল কুমার নাথের সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য দেন- নগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর, বর্তমান আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহ ও সদস্য সচিব নাজিমুর রহমান, যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুস সাত্তার, শফিকুর রহমান স্বপন, শাহ আলম ও মন্জুর আলম চৌধুরী মন্জু।