ঢাকা: টেলিনর গ্রুপের প্রেসিডেন্ট ও সিইও বেনেডিক্টে শিলব্রেড ফাসমার এ সপ্তাহে প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ সফর করেছেন। এই সফরটি বাংলাদেশ ও এ দেশের মানুষের প্রতি টেলিনরের আন্তরিক প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।
মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বেনেডিক্টের প্রথম গন্তব্য ছিল মার্কেট; যেখানে তিনি পরিবেশক, খুচরা বিক্রেতা ও গ্রাহকদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলেন। তিনি তাদের অভিজ্ঞতা, চ্যালেঞ্জ, ও আকাঙ্ক্ষাগুলো মনোযোগ দিয়ে শোনেন। টেলিনরের অন্যতম মিশন হচ্ছে গ্রাহকদের প্রয়োজনটা বোঝা- তার এই পদক্ষেপ সে বিষয়টিকেই তুলে ধরে।
টেলিনর গ্রুপের প্রেসিডেন্ট ও সিইও বেনেডিক্টে শিলব্রেড ফাসমার বলেন, ‘টেলিনরের সবচেয়ে গতিশীল বাজারগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ একটি। এখানে এসে আমার জন্য প্রথমেই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল সেই মানুষগুলোর সঙ্গে দেখা করা, যাদের আমরা প্রতিদিন সেবা প্রদান করছি। গ্রাহকদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলে এবং গ্রামীণফোনের সহকর্মী ও পার্টনারদের সঙ্গে সময় কাটিয়ে আমি উপলব্ধি করেছি, কানেক্টিভিটি কীভাবে একটি সমাজ জুড়ে সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিচ্ছে। আমি বাংলাদেশের উদ্যম, উদ্ভাবন ও সম্ভাবনায় দারুণভাবে অনুপ্রাণিত।’
গ্রামীণফোনের সিইও ইয়াসির আজমান বলেন, ‘গ্রুপ সিইও হিসেবে বেনেডিক্টের প্রথম বাংলাদেশ সফরে তাকে স্বাগত জানাতে পেরে আমরা গর্বিত। গ্রাহক ও কর্মীদের সঙ্গে তার তাৎক্ষণিক সংযোগে আমাদের ব্যবসার মূল বিষয়টি প্রতিফলিত হয়েছে- সেটি হচ্ছে সবার আগে মানুষ। ব্যবসায়িক কমিউনিটির সঙ্গে তার আলোচনা এবং আমাদের টিমকে দেওয়া তার অনুপ্রেরণা, আমরা যাতে দায়িত্ব ও উচ্চাকাঙ্ক্ষা নিয়ে বাংলাদেশের ডিজিটাল অগ্রগতিতে নেতৃত্ব দিতে পারি, সেই সংকল্পকে আরও জোরদার করেছে।’
সফরকালে বাংলাদেশের ব্যবসায়িক সম্প্রদায়ের নেতাদের এবং গ্রামীণফোনের সম্মানিত এন্টারপ্রাইজ গ্রাহকদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বেনেডিক্টে। এ সময় বাংলাদেশের ডিজিটাল অগ্রগতির অংশীদার হিসেবে টেলিনরের ভূমিকা ও প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি। তিনি গ্রামীণফোন টিমের সঙ্গেও সময় কাটান এবং অফিস ফ্লোরে ঘুরে ঘুরে কর্মীদের সঙ্গে সরাসরি দেখা করেন। এরপর টাউনহল বক্তৃতায় টেলিনর গ্রুপ নিয়ে তার ভিশন এবং বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে গ্রামীণফোন কীভাবে পরবর্তী পর্যায়ের সল্যুশন নিয়ে আসতে পারে তার ওপর আলোকপাত করেন তিনি।