বান্দরবান: দুই বছর বন্ধ থাকার পর পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হচ্ছে বান্দরবানের সর্বোচ্চ চূড়া কেওক্রাডং। আগামীকাল বুধবার (১ অক্টোবর) থেকে ভ্রমণপিপাসুরা আবারও উঠতে পারবেন এ পাহাড়চূড়ায়। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক গণবিজ্ঞপ্তিতে এই ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। তবে পর্যটকদের জন্য কিছু শর্তও বেঁধে দেওয়া হয়েছে।
বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শামীম আরা রিনি কেওক্রাডং পর্বত ভ্রমণে পর্যটকদের জন্য ছয়টি শর্ত আরোপ করে ওই গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেন।
গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বান্দরবান জেলা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা এবং সমন্বয় সংক্রান্ত কোর কমিটির সিদ্ধান্ত; রুমা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় চিঠি এবং বান্দরবান সেনানিবাসের চিঠির আলোকে কেওক্রাডং পর্বত পর্যটনকেন্দ্রটি আগামী ১ অক্টোবর থেকে সব পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করা হলো।
প্রসঙ্গত, কেওক্রাডং বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় ট্রেকিং স্পট। এর উচ্চতা ৩ হাজার ১৭২ ফুট (প্রায় ৯৬৮ মিটার)। প্রকৃতিপ্রেমী ও সাহসী ভ্রমণকারীদের কাছে চূড়াটির আলাদা কদর আছে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে সেখানে পর্যটক যাওয়া নিষিদ্ধ ছিল।
জেলা প্রশাসনের গণবিজ্ঞপ্তিতে পর্যটকদের জন্য কয়েকটি শর্ত আরোপ করা হয়। উন্মুক্ত পর্যটনকেন্দ্র ছাড়া উপজেলার অন্য জায়গায় পর্যটকদের গমনাগমন নিষিদ্ধ, নিবন্ধিত ট্যুর গাইড ব্যতীত ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা, সংশ্লিষ্ট চেকপোস্ট বা পর্যটন তথ্য সেবাকেন্দ্রে তথ্য সরবরাহ, নির্দেশনাগুলো অমান্য হলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অবগত করা, পাহাড়ি রাস্তায় চলাচলের অনুপযোগী ও ফিটনেসবিহীন সব যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা।
এছাড়া অযাচিত যেকোনো ঘটনা ঘটলে সংশ্লিষ্ট পর্যটন সংস্থার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং পর্যটন শিল্পের ওপর আবারও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে বলেও এতে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, পার্বত্য জেলা বান্দরবানের রুমা ও থানচি উপজেলায় সশস্ত্র সংগঠন কুকি চিন ন্যাশন্যাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) তৎপরতা বেড়ে যাওয়ায় পর্যটকদের নিরাপত্তার স্বার্থে বান্দরবানের রুমা ও থানচি উপজেলার বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ করে দেয় জেলা প্রশাসন। দীর্ঘদিন পর কেওক্রাডং পর্যটনকেন্দ্র পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত হওয়ায় খুশি পর্যটন ব্যবসায়ীরা।