ঢাকা: বিহিত পূজা আর সিঁদুর খেলার আনন্দঘন মুহূর্তের মধ্য দিয়ে শেষ হলো দুর্গা পূজার দশমীর প্রস্তুতি। সকাল থেকে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন পূজামণ্ডপে নারী ভক্তরা দেবীর চরণে সিঁদুর নিবেদন করেন এবং পরস্পরের সঙ্গে সিঁদুর খেলায় মাতেন।
পূজার শেষ দিনে ভক্তদের মাঝে ছিল আবেগঘন পরিবেশ। দেবীর চরণে প্রণাম করে তাঁকে বিদায় জানানোর প্রস্তুতি চলে সারাদিন ধরে। সিঁদুর খেলার পর ভক্তরা দেবীর কাছে পরিবার ও সমাজের কল্যাণ কামনা করেন।
সকাল থেকেই রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন মণ্ডপে নারী ভক্তরা দশমী বিহিত পূজায় অংশ নেন এবং দেবীর চরণে সিঁদুর নিবেদন করেন।সাধারণত এই অনুষ্ঠানে বিবাহিত নারীরা দেবীর চরণে সিঁদুর দান করেন এবং তা কৌটায় রেখে সারা বছর ব্যবহার করেন। এ সময় তারা একে অপরের কপাল ও চিবুকে দেবীর চরণ স্পর্শ করা সিঁদুর লাগিয়ে দেন। ভক্তদের বিশ্বাস, মানুষের মনের অসুরিক প্রবৃত্তি—কাম, ক্রোধ, হিংসা ও লালসা—বিসর্জন করা হলেই বিজয়া দশমীর আসল তাৎপর্য উপলব্ধি করা যায়। একে অপরের সঙ্গে সিঁদুরের মাধ্যমে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন গড়ে তোলা ও শান্তি প্রতিষ্ঠা করা এই আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য।
বিকেলে রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক ঘুরে শোভাযাত্রা বের হবে, যা সদরঘাটে গিয়ে শেষ হবে। এরপর সন্ধ্যায় দেবী বিসর্জনের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হবে পাঁচ দিনের দুর্গাপূজা।
শাস্ত্রীয় মতে, ২০২৫ সালে মা দুর্গা হাতির পিঠে চড়ে মর্ত্যে আগমন করেছেন এবং দোলায় চড়ে কৈলাসে ফিরে যাবেন। দেবীর আগমন হাতির পিঠে হলে তা অত্যন্ত শুভ হিসেবে গণ্য করা হয়, যা বসুন্ধরাকে শস্য-শ্যামলা ও সমৃদ্ধ করে তোলে।
ঢাকার বুড়িগঙ্গা, যমুনা ও দেশের বিভিন্ন নদ-নদীতে প্রতিমা বিসর্জনের মাধ্যমে সমাপ্তি ঘটবে পাঁচ দিনব্যাপী শারদীয় দুর্গোৎসবের।