Saturday 11 Oct 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

তদন্তে অভিযোগের প্রমাণ মেলেনি
বাগছাস নেতার সদস্য পদের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
২ অক্টোবর ২০২৫ ২২:২৭ | আপডেট: ৩ অক্টোবর ২০২৫ ০৯:৫০

বাগছাস রংপুর মহানগর শাখার আহ্বায়ক ইমতিয়াজ আহমেদ ইমতি। ছবি: সংগৃহীত

রংপুর: বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ (বাগছাস) রংপুর মহানগর শাখার আহ্বায়ক ইমতিয়াজ আহমেদ ইমতির সদস্যপদের ওপর আরোপিত স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের কোনো সত্যতা বা সুস্পষ্ট প্রমাণ না পাওয়ায় কেন্দ্রীয় সংসদ তাকে পুনর্বহাল করেছে।

সংগঠনের যুগ্ম সদস্য সচিব (দফতর) মাহফুজুর রহমান এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এই সিদ্ধান্ত ১ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে কার্যকর হয়। গত ২৪ সেপ্টেম্বর বাগছাসের কেন্দ্রীয় সংসদের আহ্বায়ক আবু বাকের মজুমদার এবং সদস্য সচিব জাহিদ আহসানের নির্দেশনায় ইমতিয়াজ আহমেদ ইমতির সদস্যপদ সংগঠনের গঠনতন্ত্রের ধারা ৬.৪.১ অনুযায়ী স্থগিত করা হয়েছিল।

বিজ্ঞাপন

রংপুর নগরীর হারাটি উচ্চ বিদ্যালয়ে অর্ধবার্ষিক পরীক্ষায় ফেল করা প্রায় অর্ধশত শিক্ষার্থীকে বাঁশের লাঠি দিয়ে মারধরের অভিযোগে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল বলে জানা গেছে। অভিযোগ তদন্তে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল, যার সদস্যরা ছিলেন আবু তৌহিদ মো. সিয়াম (সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক), নাঈম আবেদীন (সিনিয়র সংগঠক) এবং মোহাম্মদ আরশাদ হোসাইন (সদস্য)। কমিটিকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে নিরপেক্ষ প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।

তদন্ত প্রতিবেদনে ইমতিয়াজের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। ফলে কেন্দ্রীয় সংসদ তার স্থগিতাদেশ তুলে নিয়ে রংপুর মহানগর শাখার আহ্বায়ক হিসেবে পুনর্বহাল করে।

এর আগে গত ৪ সেপ্টেম্বর হারাটি উচ্চ বিদ্যালয়ে ইমতিয়াজ আহমেদ ইমতি, যিনি বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির সভাপতি এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক আহ্বায়ক, অষ্টম, নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মারধর করেন বলে অভিযোগ ওঠে। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা জানান, তিনি ফেল করা শিক্ষার্থীদের চিহ্নিত করে বাঁশের লাঠি দিয়ে আঘাত করেন।

প্রধান শিক্ষক আতাউর রহমান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘ইমতিয়াজ শিক্ষার্থীদের উৎসাহ দিয়েছেন, বিষয়টি মীমাংসিত।’ ইমতিয়াজ ইমতি নিজেও বলেন, ‘একটু শাসন করেছি। ৯৫ শতাংশ শিক্ষার্থীর কোনো অভিযোগ নেই।’

ইমতিয়াজের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন

ইমতিয়াজ আহমেদ ইমতি, যিনি ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ (ইউল্যাব)-এ পড়াশোনা করছেন, তার স্কুলের এডহক কমিটির সভাপতি হওয়া নিয়ে সমালোচনা রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও বাগছাসের পদ ব্যবহার করে এই দায়িত্ব পেয়েছেন।

এছাড়া, গত ১৬ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রংপুর মহানগর কমিটি স্থগিত হওয়ার সময় ইমতিয়াজসহ শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, জমি দখল ও নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছিল। ১৮ মে এক সংবাদ সম্মেলনে ১৬ জন নেতা এসব অভিযোগ তুলে পদত্যাগ করেন, এবং অর্ধশত কর্মী সংগঠন ত্যাগ করেন।

সারাবাংলা/পিটিএম

প্রত্যাহার বাগছাস সদস্যপদ স্থগিতাদেশ