ঢাকা: বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন সংবিধান প্রণয়ন ও রাষ্ট্র কাঠামোর সংস্কার নিয়ে আলোচনা যখন তুঙ্গে, তখন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার বলেছেন— ‘জুলাই সনদ’ বাস্তবায়ন নির্বাচনের আগেই সম্পন্ন করতে হবে।
শুক্রবার (৩ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে আয়োজিত ‘সংবিধান পরিবর্তন কোন পথে’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ বক্তব্য দেন।
তুষার বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার এখন এক বছরেরও বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় আছে। তাদের হাতে সুযোগ ছিল তিন মাসের মধ্যেই নির্বাচন দিয়ে সরে যাওয়ার। কিন্তু তা না করে তারা সংস্কার নিশ্চিত করার জন্য অবস্থান নিয়েছে। তাই সরকারের নিজস্ব বৈধতা প্রতিষ্ঠার জন্যও ‘জুলাই সনদ’ বাস্তবায়ন জরুরি।
তিনি আরও বলেন, ‘নতুন সংবিধান ছাড়া বিকেন্দ্রীকরণ সম্ভব নয়। বিশেষ করে হাইকোর্ট বিকেন্দ্রীকরণ বা স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার সংস্কার করতে হলে সংবিধান সংশোধন করতে হবে।’
তুষার বলেন, নতুন সংবিধান প্রণয়নের উদ্যোগ নিলে দেশে আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়বে—এই আশঙ্কা ভিত্তিহীন। কারণ সংবিধান বাতিল হলেও ‘ল কন্টিনিউয়াস আইন’ নামের একটি আইন আছে, যা দিয়ে নতুন সংবিধান না হওয়া পর্যন্ত রাষ্ট্র চালানো সম্ভব।
তিনি উদাহরণ টেনে বলেন, নেপালের অভিজ্ঞতাও একই রকম। তাদের বিপ্লবের পরপরই নির্বাচন করা হলেও ২০১৫ সালে গণপরিষদ গঠিত হয় এবং নতুন সংবিধান প্রণীত হয়। কাজেই সমস্যা নির্বাচন নয়, মূল সমস্যা সংবিধান সংস্কার।
আলোচনায় জামায়াতের আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (PR) ভিত্তিক নিম্নকক্ষ প্রস্তাবের সমালোচনা করে সারোয়ার তুষার বলেন, ‘এমন প্রস্তাব আনার আগে স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করতে হবে। কিন্তু তারা সে বিষয়ে কিছুই বলছে না।’
তিনি আরও অভিযোগ করেন, ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় সালাহউদ্দিন ভাই সবসময় শেষ বক্তা হন। ফলে তার বক্তব্যের পাল্টা যুক্তি উপস্থাপনের সুযোগ আর পাওয়া যায় না।