Friday 03 Oct 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ইসরায়েলে অনির্দিষ্টকালের জন্য অনশনে ফ্লোটিলার অভিযাত্রীরা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
৩ অক্টোবর ২০২৫ ১৯:৪৮ | আপডেট: ৩ অক্টোবর ২০২৫ ২০:৪৯

গাজা যাওয়ার পথে ত্রাণবাহী নৌযান আটকে দেওয়ার পর ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে আটক এক ডজনেরও বেশি অধিকারকর্মী অনশন শুরু করেছেন। শুক্রবার (৩ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন (এফএফসি) কমিটি।

এফএফসি’র বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ইসরায়েলের নৌবাহিনী গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা মিশনের নৌযানগুলো এবং ক্রু ও অভিযাত্রীদের আটকের প্রতিবাদে অনির্দিষ্টকালের জন্য অনশন শুরু করেছেন মিশনের অভিযাত্রীরা।’

এফএফসির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বুধবার যেদিন অভিযাত্রীদের আটক করা শুরু হয়, সেদিনই অনশনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তারা।

এদিকে, আইনি সহায়তা গোষ্ঠী আদালাহ জানিয়েছে, গিভন কারাগারে অনুষ্ঠিত এক শুনানিতে ফ্লোটিলা অভিযানে অংশ নেওয়া ১৪ জন অধিকারকর্মীর আটকাদেশ বহাল রেখেছে। এই ১৪ অধিকারকর্মী ফ্রিডম ফ্লোটিলার নৌযান হান্দালায় ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

টাইমস অফ ইসরায়েল জানিয়েছে, শুনানির সময় অধিকারকর্মীরা জোর দিয়ে বলেছেন যে, এটি তাদের মানবিক মিশন ছিল, যা গাজায় ইসরায়েলের অবৈধ অবরোধ এবং গণহত্যার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রয়োজনীয়তার দ্বারা অনুপ্রাণিত।

একজন মার্কিন অধিকারকর্মী ইসরায়েলি বাহিনীর দ্বারা গুরুতর শারীরিক হেনস্তার শিকার হয়েছেন বলেও আদালতকে জানান।

যদিও ইসরায়েল তাদের মামলাগুলোকে অভিবাসননীতি লঙ্ঘন হিসেবে বিবেচনা করছে, যা আদালাহ অবৈধ বলে দাবি করে বলেছে, আটকদের আন্তর্জাতিক জলসীমা থেকে তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে ইসরায়েলে নিয়ে আসা হয়েছে।

সংগঠনটির তথ্য মতে, নৌযান হান্দালায় থাকা ইসরায়েলি-আমেরিকান দ্বৈত নাগরিকত্ব থাকা দুই যাত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, ফিলিস্তিনের যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার বাসিন্দাদের জন্য খাদ্য ও ওষুধ নিয়ে গত ৩১ আগস্ট স্পেনের বন্দর থেকে গাজার উপকূলের দিকে যাত্রা শুরু করেছিল ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’ মিশনের অন্তর্ভুক্ত ৪৩টি নৌযান। সুইডেনের নাগরিক এবং আন্তর্জাতিক পরিবেশ আন্দোলন কর্মী গ্রেটা থুনবার্গ, দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদবিরোধী নেতা ও সাবেক প্রেসিডেন্ট নেলসন ম্যান্ডেলার নাতি ও রাজনীতিবিদ মান্ডলা ম্যান্ডেলাসহ ৪৪টি দেশের ৫০০ জন নাগরিক ছিলেন সেই মিশনে। এই নাগরিকদের কেউ পার্লামেন্টারিয়ান, কেউ আইনজীবী, কেউ রাজনৈতিক আন্দোলনকর্মী এবং কেউ বা স্বেচ্ছাসেবী।

কিন্তু গাজার জলসীমায় কাছাকাছি যাওয়ারি পরপরই একটি ব্যতীত সবগুলো নৌযান আটক করে ইসরায়েলের নৌবাহিনী। নৌযান, ক্রু এবং আরোহীদের নিয়ে যাওয়া হয় ইসরায়েলের বন্দরে।

গত বুধবার রাতে প্রথমে ১৩টি নৌযান আটকায় ইসরায়েলের নৌবাহিনী; কিন্তু তারপরও বাকি ৩০টি নৌযান গাজার উদ্দেশে এগিয়ে যাচ্ছিল। পরের দিন বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত একে একে ২৯টি নৌযান আটক করে ইসরায়েলের নৌসেনারা। সর্বশেষ নৌযানটিকে আটক করা হয়েছে আজ শুক্রবার সকালে।

সারাবাংলা/জিজি