সিলেট: আন্তর্জাতিক মানবিক ত্রাণ মিশন ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’র অন্যতম সাহসী সহযাত্রী হিসেবে ভূমধ্যসাগরে যাত্রা করছেন সিলেটের কন্যা, মানবাধিকারকর্মী রুহি লরেন আখতার। গাজায় ইসরায়েলি অবরোধের মুখে আটকে পড়া হাজারো মানুষের জন্য জরুরি ত্রাণ ও সহায়তা নিয়ে এগিয়ে গিয়েছিল এই বহর। আর সেই বহরের একজন বাংলাদেশের সিলেটের সন্তান রুহি।
রুহির পিতার নাম কাপ্তান মিয়া, যিনি সিলেটের বাসিন্দা এবং অভিবাসী হিসেবে যুক্তরাজ্যে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করছেন। রুহি জন্মগ্রহণ করেন যুক্তরাজ্যের মরপেথ শহরে এবং বর্তমানে বসবাস করছেন নিউক্যাসলের এলসউইক ওয়ার্ডে। তার সংস্থা ‘রিফিউজি বিরিয়ানি অ্যান্ড ব্যানানাস’ (আরবিবি) যুদ্ধপীড়িত ও বাস্তুচ্যুত মানুষদের জন্য বিশ্বব্যাপী মানবিক সহায়তার কাজ করে থাকে।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) তিউনিসিয়ার গামার্থ বন্দর থেকে রুহির নেতৃত্বে ১২ জনের একটি দল যাত্রা শুরু করেন। তারা যুক্ত হন স্পেন, গ্রিস, ইতালি ও তিউনিসিয়া থেকে রওনা হওয়া আরও ৪০টির বেশি ত্রাণবাহী নৌযানের সঙ্গে।
এই বহরের অন্যতম লক্ষ্য ছিল গাজার অসহায় মানুষদের কাছে খাদ্য, পানি ও মৌলিক প্রয়োজনীয়তা পৌঁছে দেওয়া এবং ইসরায়েলের দীর্ঘমেয়াদি অবরোধের বিরুদ্ধে একটি শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ গড়ে তোলা।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক ভিডিওবার্তায় রুহি বলেন, ‘আমি গাজার উদ্দেশ্যে গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলায় যোগ দিয়েছি। কারণ অন্যায়ের বিপরীতে নীরব থাকা কোনো সমাধান নয়। একজন মানবিককর্মী হিসেবে আমি দেখেছি, এক টুকরো রুটি বা সামান্য বিশুদ্ধ পানি কিভাবে সবচেয়ে অন্ধকার সময়ে আশা ফিরিয়ে আনতে পারে। এই নৌবহর হলো সংহতির প্রতীক। আমরা গাজার মানুষের পাশে আছি, যতদিন না তারা মুক্ত হয়। কারণ আমাদের কেউই মুক্ত নই, যতদিন না ফিলিস্তিন মুক্ত হচ্ছে।’