আরব সাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’ ক্রমশ শক্তিশালী হয়ে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে। ইতিমধ্যে ভারতের আবহাওয়া অধিদফতর (আইএমডি) গুজরাট ও মহারাষ্ট্র উপকূলে ব্যাপক সতর্কতা জারি করেছে।
আইএমডির তথ্য অনুযায়ী, ঝড়টি গত ছয় ঘণ্টায় পশ্চিম দিকে প্রায় ১৩ কিলোমিটার গতিতে অগ্রসর হয়েছে। বর্তমানে বাতাসের গতি ঘণ্টায় ৯০ থেকে ১০০ কিলোমিটার, যা দমকা হাওয়ায় ১১০ কিলোমিটার পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের খবরে জানা গেছে, শনিবার সকালে ঝড়টির অবস্থান ছিল গুজরাটের দ্বারকা থেকে ৪২০ কিলোমিটার পশ্চিমে, নলিয়া থেকে ৪২০ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে এবং পাকিস্তানের করাচি থেকে প্রায় ২৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে।
আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত গুজরাট ও মহারাষ্ট্র উপকূলে উত্তাল সমুদ্র ও ঝোড়ো হাওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে আইএমডি। এ সময় উপকূলজুড়ে ঘণ্টায় ৪৫–৫৫ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে, যা দমকা হাওয়ায় ৬৫ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে। শনিবার থেকে উত্তর-পশ্চিম ও উত্তর-পূর্ব আরব সাগরে বাতাসের গতি ঘণ্টায় ১১০ কিলোমিটার পর্যন্ত পৌঁছানোর আশঙ্কা রয়েছে। সোমবার পর্যন্ত ৬০ থেকে ১০০ কিলোমিটার গতির ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকায় উত্তর-পশ্চিম আরব সাগরে জেলেদের না যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, শুধু আরব সাগর নয়—গত এক মাসে প্রশান্ত মহাসাগরেও ঘনঘন ঝড় দেখা দিয়েছে। টাইফুন তাপাহ (৮ সেপ্টেম্বর), টাইফুন রাগাসা (২০ সেপ্টেম্বর), টাইফুন নিওগুরি (২০ সেপ্টেম্বর) ও টাইফুন বুয়ালই (২২ সেপ্টেম্বর) ফিলিপাইন, চীনসহ একাধিক উপকূলীয় দেশে তাণ্ডব চালিয়ে ব্যাপক ক্ষতি করেছে। এর কিছু প্রভাব বঙ্গোপসাগরেও পড়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।