ইসরায়েলের সর্বশেষ বিমান হামলায় গাজা উপত্যকায় অন্তত ৭০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ সংগঠন হামাস। সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার বরাতে এ তথ্য জানা গেছে।
গাজা মিডিয়া অফিসের তথ্যমতে, শনিবার ভোর থেকে ইসরায়েলি বাহিনী ৯৩টি বিমান হামলা চালিয়েছে। হামলায় ৭০ জন নিহত হয়েছে এবং এতে শুধু গাজা শহরেই ৪৭ জনের মৃত্যু ঘটে।
শনিবার (৪ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে হামাস জানায়, গাজায় সামরিক অভিযান কমানোর ইসরায়েলি সরকারের দাবি পুরোপুরি মিথ্যা। যুদ্ধাপরাধী নেতানিয়াহুর সরকারের এই অব্যাহত হামলা প্রমাণ করে, তারা নিরীহ বেসামরিক মানুষের বিরুদ্ধে আগ্রাসন থামায়নি।’
এই হামলার আগের দিন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইসরায়েলকে গাজায় বোমাবর্ষণ বন্ধ করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, হামাস তার প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনার অধীনে ইসরায়েলি বন্দিদের মুক্তি দিতে রাজি হয়েছে, যা দীর্ঘস্থায়ী শান্তির সম্ভাবনা তৈরি করছে।
ট্রাম্পের ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনা অনুযায়ী, ইসরায়েলের সম্মতির ৭২ ঘণ্টার মধ্যে বন্দি বিনিময় ও যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে। পরিকল্পনায় হামাসের নিরস্ত্রীকরণের কথাও বলা হয়েছে।
মিশর শনিবার ঘোষণা করেছে, সোমবার কায়রোতে ইসরায়েল ও হামাসের প্রতিনিধিদল পরোক্ষ আলোচনা করবে, যেখানে বন্দি বিনিময় ও যুদ্ধবিরতির বিস্তারিত আলোচনা হবে।
ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলি মানবাধিকার সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, চলমান যুদ্ধে এ পর্যন্ত ৬৭ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।
অন্যদিকে, ইসরায়েল বর্তমানে ১১ হাজার ১০০-এর বেশি ফিলিস্তিনিকে আটক করে রেখেছে, যাদের অনেকেই নির্যাতন, অনাহার ও চিকিৎসা বঞ্চনার শিকার বলে মানবাধিকার সংস্থাগুলোর অভিযোগ।
এদিকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু শনিবার (৪ অক্টোবর) এক টেলিভিশন ভাষণে বলেন, ‘হামাসকে নিরস্ত্রীকরণ করা হবে এবং গাজাকে সামরিকীকরণমুক্ত করা হবে। সহজ পথে হোক বা কঠিন পথে, তা নিশ্চিতভাবে ঘটবে।’