চট্টগ্রাম ব্যুরো: যুক্তরাষ্ট্রের এক বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে জাল টাকায় মোবাইল কেনার অপরাধে এক যুবককে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই রায়ে আদালত তাকে এক লাখ টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন। এছাড়া অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় আরেক আসামিকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।
রোববার (৫ অক্টোবর) দুপুরে চট্টগ্রামের চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ সিরাজাম মুনীরা এ রায় দেন। আদালতের বেঞ্চ সহকারী ওমর ফুয়াদ সারাবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দণ্ডিত মহিউদ্দিন আল আজাদ কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার রাজাখালী গ্রামের বাসিন্দা। তবে তিনি চট্টগ্রাম নগরীর বন্দর থানা এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন।
মামলার নথি পর্যালোচনায় জানা গেছে, দেশে বেড়াতে আসা যুক্তরাষ্ট্রের মেট্রোপলিটন স্টেট ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী ফাহিম মোর্শেদ ২০২০ সালের ২২ ডিসেম্বর তার ব্যবহৃত মোবাইল বিক্রির জন্য ফেসবুকে পোস্ট দেন। সেই পোস্ট দেখে মহিউদ্দিন আল আজাদ তার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। দরদামে সমঝোতা হওয়ার পর ৭৮টি এক হাজার টাকার নোট দিয়ে মূল্য পরিশোধ করে তিনি মোবাইলটি কিনে নেন।
কিন্তু পরে ফাহিম মোর্শেদ বুঝতে পারেন তিনি প্রতারিত হয়েছেন। এক হাজার টাকার ৭৮টি নোটের সবগুলোই ছিল জাল। এ ঘটনায় তার মামা নিজামুদ্দিন নগরীর কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন। মামলার তদন্তে উঠে আসে, মহিউদ্দিন আলম আজাদ ও জাকির শেখ নামে দুই যুবক পরস্পর যোগসাজশে জাল টাকাগুলো সংগ্রহ করে প্রতারণা করেন।
পরে দুজনকে আসামি করে পুলিশের অভিযোগপত্র দাখিলের পর ২০২৩ সালের ১৫ জানুয়ারি তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে মামলার বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। ছয়জন সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষে আদালত আজ রায় ঘোষণা করেন।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী ওমর ফুয়াদ সারাবাংলাকে জানান, মহিউদ্দিন আল আজাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় সাজা দিয়েছেন আদালত। পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা জারির আদেশ জারি করা হয়েছে। তবে অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় জাকির শেখকে খালাস দেওয়া হয়েছে।