Monday 06 Oct 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সেনাপ্রধান গুম-খুনে অভিযুক্ত কাউকে দায়মুক্তির কথা বলেননি: আইএসপিআর

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
৬ অক্টোবর ২০২৫ ১৭:৩০ | আপডেট: ৬ অক্টোবর ২০২৫ ১৮:০০

ছবি: সারাবাংলা

ঢাকা: সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাংলাদেশ সেনা প্রধানের একটি বক্তব্যকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করা হচ্ছে—যা একটি উদ্দেশ্যমূলক অপপ্রচার। সেনাপ্রধান ওই অনুষ্ঠানে গুম-খুন বা অন্যান্য মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত কাউকে দায়মুক্তি দেওয়ার বিষয়ে কোনো কিছু উল্লেখ করেননি।

সোমবার (৬ অক্টোবর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে আইএসপিআর।

আইএসপিআর জানায়, গত ৩০ সেপ্টেম্বর বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা প্রদান কার্যক্রমে নিয়োজিত সেনাবাহিনীর কার্যকলাপ আরও উন্নত ও গতিশীল করার উপায় সন্ধানে আয়োজিত একটি গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপনা (স্টাডি পিরিয়ড) অনুষ্ঠানে সেনা সদস্যদের দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী মোতায়েন এবং এর বিভিন্ন চ্যালেঞ্জগুলো উপস্থাপিত হয়। আলোচনায় ইন এইড টু সিভিল পাওয়ারের জন্য প্রযোজ্য বাংলাদেশ দণ্ডবিধি সিআরপিসি ১২৭-১৩২ ধারা, বর্তমানে সেনাবাহিনীকে প্রদত্ত ‘ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা’আরোপের মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মাঠ পর্যায়ের বিভিন্ন দিক আলোকপাত করা হয়। আইনগত, প্রশাসনিক ও প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে মাঠে নিয়োজিত সেনাদল কর্তৃক প্রযোজ্য আইনের ধারা সঠিকভাবে অনুধাবন করে পেশাদারিত্ব ও দক্ষতার সঙ্গে অর্পিত দায়িত্ব সঠিক ও সুচারুরূপে পালনে সক্ষম করাই ছিল এই আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য।

বিজ্ঞাপন

আইএসপিআর আরও জানায়, অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার-এ মাঠে নিয়োজিত সেনা সদস্যদের সিআরপিসি ১৩২-এ প্রদত্ত দায়মুক্তির বিষয়ে কথা ওঠে এবং সেনাপ্রধান আলোচনার অংশ হিসেবে সিআরপিসি ১৩২-এ প্রদত্ত দায়মুক্তি এবং ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইম (ট্রাইব্যুনাল) ধারা ১৯৭৩ (সংশোধিত ২০২৪) এর সাথে এর সাংঘর্ষিক অবস্থান সম্পর্কে আলোকপাত করেন। সিআরপিসি’র অধীনে সরকারি আদেশে মাঠ পর্যায়ে দায়িত্ব পালনকারী সেনাসদস্যরা প্রদত্ত আইনি বিধান অনুসারে বেআইনি জনসমাগম ছত্রভঙ্গ করেন। অতএব, দায়িত্বরত এই সেনাসদস্যদের আইনগত সুরক্ষা নিশ্চিতের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বিষয়টি ইতোমধ্যে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।

আইএসপিআর জানায়, আলোচনার কোনো পর্যায়েই সেনাপ্রধান গুম-খুন বা অন্যান্য মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত কাউকে দায়মুক্তি দেওয়ার বিষয়ে কোনো কিছু উল্লেখ করেননি। কিন্তু একটি চিহ্নিত কুচক্রী মহল বিশেষ করে বিদেশে অবস্থানরত কিছু ব্যক্তি অসৎ ও হীন উদ্দেশ্যে বরাবরের মতো এবারও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্টাডি পিরিয়ডের বিষয়বস্তু ও সেনাপ্রধানের বক্তব্যকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করে বিভ্রান্তিকর পোস্ট দিচ্ছেন। এর মাধ্যমে তারা দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর সঙ্গে জনগণের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছেন।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সর্বদা সংবিধান, রাষ্ট্রের আইন ও জনগণের প্রতি দায়বদ্ধ থেকে পেশাদারিত্ব ও শৃঙ্খলার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে আসছে এবং ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত রাখবে। একটি অসাধু ও কুচক্রী মহল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সেনা প্রধানের বক্তব্য বিকৃত করে যে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর প্রচারণা চালাচ্ছে, তা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ভিত্তিহীন। এমতাবস্থায়, এ ধরনের বিভ্রান্তিকর ও অসত্য তথ্যের প্রতি সতর্ক থাকার জন্য জনসাধারণকে বিনীতভাবে অনুরোধ জানানো হচ্ছে।

সারাবাংলা/ইউজে/এসএস

অভিযুক্ত আইএসপিআর খুন গুম দায়মুক্তি সেনাপ্রধান

বিজ্ঞাপন

খুলনায় বৃদ্ধার মরদেহ উদ্ধার
৬ অক্টোবর ২০২৫ ১৭:৫৯

আরো

সম্পর্কিত খবর