ফরিদপুর: ফরিদপুরে ফেসবুক পোস্ট দেওয়াকে কেন্দ্র করে কৃষকদলের দুই নেতার মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে মহানগর কৃষকদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফরিদ শেখ (৩৭) আহত হয়েছেন। একই সংগঠনের সহ-ক্রীড়া সম্পাদক ফিরোজ শেখ ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে এ হামলার অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার (৬ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে সদর উপজেলার মাচ্চর ইউনিয়নের ধুলদী বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত ফরিদ শেখকে ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের বৈঠাখালী মহল্লার বাসিন্দা মো. মান্নান শেখের ছেলে।
আহতের স্ত্রী জুঁই বেগম জানান, ফরিদ মোটরসাইকেলে করে একটি পারিবারিক অনুষ্ঠানে যাচ্ছিলেন। পথে ফিরোজ শেখ ও তার কয়েকজন সহযোগী মিলে ফরিদের ওপর হামলা চালান। এ সময় ধারালো অস্ত্র ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করা হয় তাকে। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে তার মাথায় ছয়টি সেলাই দিতে হয়।
ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা গণেশ কুমার আগরওয়ালা বলেন, “আহত ফরিদ শেখের মাথায় একাধিক ক্ষতচিহ্ন রয়েছে। তাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।”
এলাকাবাসীর বরাতে জানা গেছে, স্থানীয় আধিপত্য ও দলীয় অভ্যন্তরীণ বিরোধের জেরে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এর আগে দুদিন আগে ফরিদ শেখ ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন, যেখানে তিনি প্রশ্ন তোলেন—ফিরোজ শেখের বাবা আওয়ামী লীগের নেতা হওয়া সত্ত্বেও কীভাবে ফিরোজ মহানগর কৃষকদলের পদে দায়িত্ব পালন করছেন।
এ বিষয়ে ফরিদপুর মহানগর কৃষকদলের সভাপতি মো. মামুন অর রশিদ বলেন, ‘স্থানীয় বিরোধের জেরে এ ঘটনা ঘটতে পারে। ফিরোজ মহানগর কৃষকদলের সহ-ক্রীড়া সম্পাদক, প্রচার সম্পাদক নয়। ফেসবুক পোস্ট আমি দেখেছি, তবে ফিরোজের বাবা আওয়ামী লীগের নেতা কিনা, তা নিশ্চিত নই।’
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফরিদপুর কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদউজ্জামান বলেন, ‘ধুলদী এলাকায় মারামারির ঘটনায় একজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এখনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’