বাগেরহাট: সাংবাদিক এস এম হায়াত উদ্দিন হত্যার ঘটনায় সাভারের আশুলিয়া থেকে দুই যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সরাসরি জড়িত বলে জানিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ। সেইসঙ্গে এই দু’জনকে গ্রেফতার মধ্য দিয়ে উঠে এসেছে আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যের কাহিনি।
সোমবার (৬ অক্টোবর) রাত ১০টা ৮ মিনিটে বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. শামীম হোসেনের সই করা এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। গ্রেফতার দু’জন হলেন- মো. ওমর ফারুক ইমন হাওলাদার (২৫) ও মো. আশিকুল ইসলাম আশিক (২৫)। দু’জনই বাগেরহাট সদর উপজেলার গোপালকাটি এলাকার বাসিন্দা।
আর নিহত হায়াত উদ্দিন ছিলেন বাগেরহাট শহরের হাড়িখালি এলাকার বাসিন্দা এবং স্থানীয় দৈনিক ভোরের চেতনা পত্রিকার নিজস্ব প্রতিবেদক। পাশাপাশি তিনি বাগেরহাট পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক পদে প্রার্থী ছিলেন।
জানা গেছে, শুক্রবার (৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় হাড়িখালি এলাকায় তাকে নৃশংস ভাবে হত্যা করা হয়। ওই সময় তিনি স্থানীয় একটি চায়ের দোকানে বসে ছিলেন। এ সময় তিনটি মোটরসাইকেলে করে ছয়-সাতজন সন্ত্রাসী এসে হায়াত উদ্দিনকে ঘিরে ফেলে। এর পর ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে চলে যায়। পরে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে বাগেরহাট ২৫০ শয্যা হাসপাতালে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখানে অবস্থার অবনতি হলে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এই হত্যাকাণ্ডের দু’দিন পর নিহতের মা হাসিনা বেগম বাগেরহাট সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় প্রধান আসামি হিসেবে মো. ইসরাইল মোল্লার নাম উল্লেখ করা হয়। এছাড়া, আরও ছয়জনের নাম এবং ১০-১২ জন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। পরে জেলা ডিবি পুলিশের ওসি শরিফুল ইসলামের নেতৃত্বে গঠিত একটি বিশেষ দল রাজধানীর আশুলিয়া থানার পল্লী বিদ্যুৎ এলাকার ‘নিউ গোল্ডেন সিটি’ আবাসিক হোটেলের ৪র্থ তলার ১১৮ নম্বর কক্ষে অভিযান চালিয়ে ওমর ফারুক ইমন হাওলাদার ও মো. আশিকুল ইসলাম আশিককে গ্রেফতার করে।
এর পর তাদের আদালতে সোপর্দ করা হলে তারা ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। সেই জবানবন্দিতে উঠে আসে যে, তারা হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা ও ঘটনায় জড়িত ছিল।