রংপুর: রংপুরের পীরগাছা উপজেলায় গাছের সঙ্গে রশি দিয়ে বেঁধে রাতভর মারধর করার ঘটনায় আসামিদের গ্রেফতার না করার অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী গৃহবধূ শেফালী বেগম।
তার অভিযোগ, স্বামীর পরিবারের সদস্যরা এই নিষ্ঠুরতার জেরে তার শরীরে গুরুতর আঘাতের ছাপ ফেললেও বিষয়টি পুলিশ গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে না। কল্যাণী ইউনিয়নের নিজতাজ গ্রামে ঘটে যাওয়া হৃদয়বিদারক নির্যাতনের ঘটনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে উঠায় স্থানীয়রা ক্ষোভে ফুঁসছে। এতে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে স্থানীয়রা।
আরও পড়ুন: রংপুরে গৃহবধূকে গাছে বেঁধে নির্যাতন, অভিযুক্ত সতিন গ্রেফতার
জানা গেছে, ২০১৪ সালে শেফালী বেগমের বিয়ের হয় প্রবাসী স্বামী নজরুল ইসলামের সঙ্গে, কিন্তু তিনি স্ত্রীর খোঁজখবর রাখতেন না। সম্প্রতি লোকমুখে শেফালী জানতে পারেন, নজরুল তাকে তালাক দিয়েছেন। গত শুক্রবার (৩ অক্টোবর) ভোরে তালাকের কাগজপত্র চাইতে স্বামীর বাড়িতে যান তিনি। সেখানে নজরুলের প্রথম স্ত্রী আমেনা বেগম (সতিন)সহ পরিবারের সদস্যরা তাকে বাড়ির বাইরে সুপারিগাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন করেন। এই ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ায় এলাকায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনায় মাহীগঞ্জ থানায় শেফালী ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। গত রোববার (৫ অক্টোবর) নির্যাতনের পর তিনি পীরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন, যেখানে হাত-পা ফুলে যাওয়া সহ শরীরে ব্যথা দেখা দিয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল কর্মকর্তা নওরীন জাহান বলেন, শেফালী শারীরিক নির্যাতনের কারণে ভর্তি এবং তার শরীরে ব্যথা রয়েছে।
শেফালী বলেন, পুলিশ ডেকে নিয়ে মামলা করিয়েছে। আসামিরা বাড়িতে আছে কিন্তু গ্রেফতার করছে না পুলিশ। আসামিরা আমাকে হুমকি দিচ্ছে মামলা তুলে নিতে। শেফালীর অভিযোগ, সাংবাদিককে মামলার বিষয়ে জানাতে পুলিশ নিষেধ করেছেন।
থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবদুল কুদ্দুস বলেন, ‘মামলার এক আসামি ভুক্তভোগীর সতিন আমেনা বেগমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’