ঢাকা: ইসরায়েলের সঙ্গে যেসব রাষ্ট্রের দহরম-মহরম সম্পর্ক রয়েছে, তাদের সঙ্গেও বাংলাদেশের সম্পর্ক পুনর্বিবেচনা করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান রিপন।
বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের উদ্যোগে আয়োজিত এক নাগরিক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। সমাবেশটি অনুষ্ঠিত হয় ফিলিস্তিনের ওপর ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে এবং ফটো সাংবাদিক শহিদুল আলমসহ সকল মানবাধিকার কর্মীদের মুক্তির দাবিতে।
আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, ‘ফিলিস্তিনের গাজায় নিরীহ ও অসহায় মানুষদের সাহায্য করতে গিয়ে মানবাধিকার কর্মীদের ওপর যে বর্বরতা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী, তা অত্যন্ত দুঃখজনক ও মর্মান্তিক। এর আমরা তীব্র নিন্দা জানাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে গাজার মুসলমানদের ওপর ইসরায়েলি বাহিনী হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে, যার বিরুদ্ধে সারা পৃথিবী আন্দোলন করছে। কিন্তু ৯০ শতাংশ মুসলমান অধ্যুষিত বাংলাদেশে ইসরায়েলবিরোধী তেমন কোনো আন্দোলন হচ্ছে না—এটা দুঃখজনক।’
সরকারের উদ্দেশে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘পাসপোর্টে আবারও ইসরায়েলকে বাদ দিতে হবে। ইসরায়েলের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক করা যাবে না। যেসব রাষ্ট্র ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ, তাদের সঙ্গেও বাংলাদেশের সম্পর্ক পুনর্বিবেচনা করতে হবে।’
অন্তর্বর্তী সরকার নিয়ে তিনি বলেন, ‘ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে, কিন্তু আমরা এখনো নির্বাচনি অনিশ্চয়তা দেখছি। আমরা চাই এই সরকারকে সর্বাত্মক সহযোগিতা দিতে, যেন তারা অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন করতে পারে। জনগণকে একটি চমৎকার নির্বাচন উপহার দিতে পারে।’
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন। এ ছাড়াও বক্তব্য দেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, ন্যাশনাল লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন ফারুক রহমান, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেন, সাবেক এমপি নূর আফরোজ জ্যোতি, এনডিপির সভাপতি আব্দুল্লাহ আল হারুন সোহেল, জাতীয়তাবাদী চালক দলের সভাপতি জসিম উদ্দিন কবির ও জিয়াউর রহমান সমাজকল্যাণ পরিষদের সভাপতি গিয়াস উদ্দিন খোকন প্রমুখ।