লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুরে যুবদল নেতা মাহবুব আলম বাচ্চুকে হত্যার হুমকি দেওয়ার একটি কল রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী ও জোড়া খুন মামলার প্রধান আসামি আবুল কাশেম জিহাদীর বিরুদ্ধে এ হুমকির অভিযোগ উঠে।
বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) বিকেলে এ ঘটনায় জেলা যুবদল প্রতিবাদ জানিয়েছে।
জেলা যুবদলের সভাপতি আব্দুল আলিম হুমায়ুন ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ রশিদুল হাসান লিংকনের সই করা প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
হুমকির ঘটনায় ভুক্তভোগী যুবদল নেতা বাচ্চু সদর মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
ভুক্তভোগী বাচ্চু সদর (পশ্চিম) উপজেলা যুবদলের সদস্য ও বশিকপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি ছিলেন। তিনি বশিকপুর ইউনিয়নের বিরাহিমপুর গ্রামের হাজী আবুল কালামের ছেলে।
জানা যায়, অভিযুক্ত কাশেম জিহাদী একসময় জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। পরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত হয়ে নিজের নামে সন্ত্রসী বাহিনী গড়ে তোলেন। তিনি চন্দ্রগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি ও বশিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান।
২০২৩ সালের ২৫ এপ্রিল রাতে জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নোমান ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রাকিব হোসেনকে গুলি করে হত্যার ঘটনার প্রধান আসামি তিনি। এই ঘটনার পর থেকে তিনি দেশের বাইরে পালিয়ে আছেন।
পালিয়ে থেকেও বিভিন্ন সময় হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বারে কল দিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদাবাজি করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
যুবদল নেতা মাহবুব আলম বাচ্চু বলেন, ‘বশিকপুরের পোদ্দার বাজারে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছিল। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা কাশেম জিহাদী ও তার ভাই লেদা চাঁদা দাবিসহ বিভিন্নভাবে আমাকে হয়রানি ও মারধর করে। দোকান থেকে টাকা ও মোবাইল লুট করে। একপর্যায়ে আমি দোকান রেখে চলে আসি।’
তিনি আরও বলেন, ‘সম্প্রতি জিহাদীর ভাই লেদাকে স্থানীয়রা আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। এ ঘটনায় জিহাদী আমাকে দায়ী করে বুধবার (৮ অক্টোবর) দুপুরে মোবাইলফোনে কল দিয়ে হত্যার হুমকি দেয়। আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।’
জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ রশিদুল হাসান লিংকন বলেন, ‘কাশেম জিহাদী শীর্ষ সন্ত্রাসী। সে বিভিন্ন সময় বিএনপি-যুবদল ও সকল অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীকে হত্যা, বাড়িতে আগুন, অপহরণ, চাঁদাবাজিসহ সকল অপকর্মের মূল হোতা। পালিয়ে থেকেও হত্যার হুমকি ও চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। প্রশাসনের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী জিহাদীসহ সকল সন্ত্রাসী ও খুনীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’
লক্ষ্মীপুর শহর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘অভিযোগটি পেয়েছি। তদন্ত চলছে। তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’