ঢাকা: বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ডা. আমান উল্লাহ আমান বলেছেন, ‘সরকার প্রস্তুত, জনগণও প্রস্তুত। ইনশাআল্লাহ ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। জনগণ ভোটের মাধ্যমে তাদের প্রত্যাশিত গণতান্ত্রিক সরকার গঠন করবে।’
শুক্রবার (১০ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর দৈনিক বাংলার মোড় থেকে জেহাদ স্কয়ারে শহিদ নাজিরউদ্দিন জেহাদ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
শহিদ জেহাদ দিবস উপলক্ষে বিএনপির নেতাকর্মীরা সকালে জেহাদ স্কয়ারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে শহিদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।
ডা. আমান উল্লাহ আমান বলেন, ‘ড. ইউনুস বলেছেন ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে। কিন্তু এখনো নির্বাচনকে ঘিরে নানা টালবাহানা চলছে। কেউ বলছে কেয়ারটেকার পদ্ধতি, কেউ বলছে গণভোট। এসব আলোচনা নির্বাচন বানচালের অপচেষ্টা ছাড়া কিছু নয়।’
তিনি বলেন, ‘শহিদ জেহাদের একটি স্বপ্ন ছিল গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়া। সেই স্বপ্ন ১৯৯১ সালে একবার পূরণ হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে সেই দেশ গণতন্ত্র থেকে বিচ্যুত হয়েছে। বিগত ১৬ বছর শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী শাসনে দেশের মানুষ নির্যাতন, নিপীড়ন ও দমনপীড়নের শিকার হয়েছে। ছাত্রসমাজ, রাজনৈতিক কর্মী এমনকি সাধারণ মানুষ পর্যন্ত রেহাই পায়নি।’
বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে জনগণ নতুন আশা পেয়েছে উল্লেখ করে আমান উল্লাহ আমান বলেন, ‘দেশনেতা তারেক রহমান এক দশকেরও বেশি সময় ধরে আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। আমাদের বহু ছাত্রনেতা, তরুণ কর্মী ও বিএনপি নেতারা গুম হয়েছেন, নির্যাতিত হয়েছেন। তবু আমরা পিছু হটিনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘যারা বিনা ভোটে সংসদে গিয়ে এমপি বা মন্ত্রী হয়েছে, তাদেরকে জনগণই পার্লামেন্ট থেকে বের করে এনেছে। এমনকি অবৈধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও জনগণ গণভবন থেকে বের করে দিয়েছে। আজ দেশের মানুষ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের অপেক্ষায়।’
আমান উল্লাহ আমান আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের তত্ত্বাবধানে ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচনের আয়োজন হবে। জনগণ এবার ভোটের মাধ্যমে তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার পুনরুদ্ধার করবে, সেটিই হবে শহিদ জেহাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নের প্রকৃত প্রতিফলন।’