Saturday 11 Oct 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫’ উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদন

স্পেশাল করেসপডেন্ট
১১ অক্টোবর ২০২৫ ১৬:৩৫ | আপডেট: ১১ অক্টোবর ২০২৫ ১৭:৩৬

উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: উপদেষ্টা পরিষদে ‘ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা অধ্যাদেশ‚ ২০২৫’ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে অধ্যাদেশটি অনুমোদন দেওয়া হয়।

ব্যক্তিগত উপাত্তের গোপনীয়তা, নিরাপত্তা ও দায়িত্বশীল ব্যবহারের নিশ্চয়তা বিধানের লক্ষ্যে ‘ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫’ প্রণয়নের কার্যক্রম গ্রহণ করে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ ।

ডিজিটাল যুগে নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা, তথ্যপ্রযুক্তির ন্যায্য ব্যবহার এবং উদ্ভাবনের জন্য নিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টির প্রয়োজনে এই অধ্যাদেশটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। প্রস্তাবিত আইনটি কার্যকর হলে ব্যক্তিগত উপাত্তের সংগ্রহ, সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াকরণ, স্থানান্তর ও বিনষ্টকরণে আন্তর্জাতিক মান নিশ্চিত হবে এবং ডিজিটাল অর্থনীতির টেকসই বিকাশে এটি সহায়ক হবে।

বিজ্ঞাপন

‘ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর উল্লেখযোগ্য দিকসমূহ:

* মোট ৫৭টি ধারা সম্বলিত এই অধ্যাদেশে ব্যক্তিগত উপাত্তের মালিকানা স্বয়ং উপাত্তধারীর হাতে থাকবে।

* উপাত্ত সংগ্রহ ও প্রক্রিয়াকরণের ক্ষেত্রে উপাত্তধারীর সম্মতি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

* শিশু বা সম্মতি দিতে অক্ষম ব্যক্তির উপাত্ত প্রক্রিয়াকরণে পিতামাতা বা আইনগত অভিভাবকের অনুমতি প্রয়োজন হবে।

* উপাত্তধারী যেকোনো সময় তার সম্মতি প্রত্যাহার করতে পারবেন।

* সংবেদনশীল ব্যক্তিগত উপাত্ত শর্তসাপেক্ষে প্রক্রিয়াকরণের বিধান রাখা হয়েছে।

জাতীয় নিরাপত্তা, জনস্বার্থ, অপরাধ প্রতিরোধ, শিক্ষা ও গবেষণা ইত্যাদি ক্ষেত্রে প্রয়োজনে সম্মতি ব্যতিরেকে উপাত্ত ব্যবহারের সুযোগ রাখা হয়েছে।

সরকার ব্যক্তিগত উপাত্তকে চারটি শ্রেণিতে বিভাজন করেছে: (ক) উন্মুক্ত, (খ) অভ্যন্তরীণ, (গ) গোপনীয় ও (ঘ) সীমাবদ্ধ।

অধ্যাদেশের বিধান লঙ্ঘন, অননুমোদিত প্রবেশ বা অপব্যবহারের ক্ষেত্রে দণ্ড ও প্রশাসনিক জরিমানা আরোপের বিধান রাখা হয়েছে।

নির্ধারিত সময়ে স্বতন্ত্র উপাত্ত নিরীক্ষক কর্তৃক উপাত্ত প্রক্রিয়াকরণের অডিট সম্পাদনের বিধান রাখা হয়েছে। আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক উপাত্ত বিনিময় ও সংযুক্তির সুযোগ রাখা হয়েছে।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ বিশ্বাস করে, ‘ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫’ বাস্তবায়িত হলে নাগরিকের গোপনীয়তা রক্ষা এবং তথ্যনির্ভর উদ্ভাবনে এটি একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে কাজ করবে।

সারাবাংলা/জিএস/জিজি

‘ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা আইন’ ২০২৫