কুষ্টিয়া: বন্যার পানি কমে যাওয়ার পর কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় পদ্মা নদীতে দেখা দিয়েছে ভয়াবহ ভাঙন। উপজেলার মরিচা ও চিলমারী ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় প্রতিদিনই বসতভিটা, আবাদি জমি ও স্থাপনা নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে। এরইমধ্যে, মরিচা ইউনিয়নের উদয়নগর বিজিবি ক্যাম্প, চার ফসলি জমি, বাগান ও বেশ কয়েকটি বাড়িঘর গিলে খেয়েছে ভয়াল পদ্মা সেই সঙ্গে হুমকীর মুখে ভারত থেকে আসা বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনও।
মরিচা ইউনিয়নের ভুরকা-হাটখোলা থেকে কোলদিয়াড় পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকাজুড়ে শুরু হয়েছে তীব্র ভাঙন। সীমান্তবর্তী চিলমারী ইউনিয়নের বাংলাবাজার, আতারপাড়া ও উদয়নগর এলাকায় নদীর ভাঙনে আতঙ্কে দিন কাটছে শত শত পরিবারের।
স্থানীয়রা জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ড জিওব্যাগ ফেলার উদ্যোগ নিলেও তীব্র ভাঙনের কারণে তা কার্যকর হচ্ছে না। দ্রুত এই ভাঙন প্রতিরোধ না করা হলে ফসলি জমি ও ঘরবাড়ি হারিয়ে রাস্তায় বসতে হবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাশিদুর রহমান জানান, পদ্মার পানি কমতে শুরু করায় ভাঙন বেড়েছে। জিওব্যাগ ফেলা হচ্ছে, পাশাপাশি স্থায়ী ও অস্থায়ী দু’ধরনের পদক্ষেপ নিতে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে মন্ত্রণালয়ে। অনুমোদন পেলেই কাজ শুরু করা হবে।
ভুক্তভোগীরা বলেন, বছরের পর বছর ধরে এই ভাঙনে সর্বস্ব হারিয়ে পথে বসেছে বহু পরিবার। তাই আর কোনো আশ্বাস নয় দ্রুত স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তারা।