মুন্সীগঞ্জ: বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ড. আসাদুজ্জামান রিপন বলেছেন, নিষিদ্ধ সময়ে ইলিশ মাছ ধরবো না, দেশের শত্রু হবো না।
শনিবার (১১ অক্টোবর) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত তিনি লৌহজং উপজেলার পদ্মা নদীর বিভিন্ন এলাকায় মা ইলিশ সংরক্ষণে সচেতনতামূলক অভিযান পরিচালনা করেন। পরে তিনি লৌহজং পুরাতন থানা এলাকায় নদীর পাড় জনগণের উদ্দেশ্যে মা ইলিশ ধরার ক্ষতিকর দিক তুলে ধরে সচেতনতামূলক বক্তব্য দেন। এরপর তিনি দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে লৌহজং বিএনপি কার্যালয়ে এসে আশা কর্মীদের উদ্দেশ্যেও একই বিষয়ে অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্য দেন।
ড. আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, ‘সরকার ৪ অক্টোবর থেকে ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত মা ইলিশ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। আমরা বিএনপি’র পক্ষ থেকে আহ্বান জানাচ্ছি—এই নিষেধাজ্ঞা যেন সবাই মেনে চলে। যদি আমরা সত্যিই আমাদের দেশকে ভালোবাসি, তবে আমাদের মা ইলিশদের নিরাপদে ডিম পাড়তে দিতে হবে। একটি মা ইলিশ প্রায় ২২ লাখ ডিম ছাড়ে। এই কয়েকটা দিন ধৈর্য ধরলে আগামী মার্চ মাসে পদ্মা নদী ইলিশে ভরে যাবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইলিশ রক্ষা শুধু প্রশাসনের দায়িত্ব নয়, এটি আমাদের সবার দায়িত্ব। কিছু অসচেতন ও লোভী মানুষ নিষিদ্ধ সময়ে মাছ ধরে দেশের ক্ষতি করছে। প্রশাসনের পাশাপাশি জনগণকেও এগিয়ে আসতে হবে। পুলিশ, কোস্টগার্ড যদি আরও তৎপর হয়, তবে অবৈধভাবে ইলিশ ধরা অনেকাংশে বন্ধ হবে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘যদি আমরা আগামী দিনে জনগণের ভোটে নির্বাচিত হতে পারি, তাহলে ইলিশ নিধন রোধে কঠোর ব্যবস্থা নেব। আমরা ইলিশ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হব, বিদেশেও রফতনি করতে পারব ইনশাআল্লাহ।’
ড. আসাদুজ্জামান রিপন আরও বলেন, ‘আমি নির্বাচন করি বা না করি, আপনাদের সঙ্গে আছি। আপনাদের জন্যই আন্তর্জাতিক মানের একটি পোর্ট নির্মাণের জন্য ৭৫৬ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন হয়েছে পদ্মা নদীর তীরে। এই মুন্সীগঞ্জে বহু নেতা, মন্ত্রী, এমপি ছিলেন, কিন্তু কেউ এলাকার উন্নয়নে তেমন কিছু করেননি। আমি চাই, আমাদের পদ্মা নদী হোক উন্নয়নের কেন্দ্রবিন্দু, আর ইলিশ হোক আমাদের গর্ব।’
শেষে তিনি সকল জেলে, ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষকে আহ্বান জানান— ‘আসুন, নিষিদ্ধ সময়ে ইলিশ মাছ ধরা বন্ধ করি। মা ইলিশ রক্ষা করি, দেশ ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে রক্ষা করি।”
মুন্সীগঞ্জ জেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আতাউর রহমান খানের সভাপতিত্ব উক্ত অনুষ্ঠানে সঞ্চালনায় ছিলেন উপজেলা বিএনপি নেতা মোশারফ হোসেন নসু। এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা বিএনপির সাবেক কোষাধ্যক্ষ মো. কামাল খান, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সহ-সম্পাদক শাহ আলম রনি, টঙ্গীবাড়ি ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক মিজানুর রহমান, সরকারি লৌহজং কলেজ ছাত্রদল শাখার সাবেক সদস্য সচিব জহির আমিন দেওয়ান ও সরকারি হরগঙ্গা কলেজের সাবেক ছাত্রদল নেতা বিএম তুহিন প্রমুখ।