ঢাকা: গাজা অভিমুখী নৌবহরে ইসরায়েলি আক্রমণ, অপহরণ ও ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে বন্দী থাকার সময়কার ভয়াবহ অভিজ্ঞতা জানিয়েছেন দৃকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও আলোকচিত্রী শহিদুল আলম।
শনিবার (১১ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর দৃকগ্যালারি ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি নানা অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন।
শহিদুল আলম বলেন, ‘৫০ জনের বেশি ইসরায়েলি সেনা এসে অপহরণ করে নিয়ে যায়। অপহরণের পর তীরে নিয়ে নির্যাতন চালায়, করা হয় মানসিক অত্যাচার। হামাসের এজেন্ট অভিযোগ এনে গুলি কারার হুমকি দেয় আমাদের। গাদাগাদি করে রাখা হয় মরুভূমির গোপন কারাগারে। লোহার বিছানায় ঘুমাতে হতো।’
তিনি বলেন, ‘সুমুদ ফ্লোটিলায় কোনো ইলেক্ট্রনিক/ব্রডকাস্টিং মিডিয়া যায়নি। যেকোনো যুদ্ধাবস্থায় সাংবাদিক এবং গণঅধিকার কর্মীদের অবাধে প্রবেশাধিকার থাকা সত্ত্বেও ইসরায়েলি বাহিনী কাউকে যেতে দেয়নি।’
এই আলোকচিত্রী জানান, সুমুদ ফ্লোটিলা ত্রাণ দেওয়ার জন্য নয় বরং ইসরায়েলি বাহিনীর অবরোধ ভাঙাই ছিল প্রধান উদ্দেশ্য। ৭ অক্টোবর গাজায় পৌঁছালে সুমুদ ফ্লোটিলাকে হামাসের সমর্থক বলে অবহিত করা হতো। তাই ৮ অক্টোবর পৌঁছানোর পরিকল্পনা করা হয়। ইসরায়েলি হামলার ব্যাপারে আগে থেকেই আশঙ্কা ছিল। এ জন্য ট্রেনিংও দেওয়া হয়েছিল তাদের।’
অধিকাংশ আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম গাজা যুদ্ধের বিষয়ে বিতর্কিত ভূমিকা রাখায় নিন্দা জানান শহিদুল আলম। বাংলাদেশের জনগণ ও প্রধান উপদেষ্টার ভূমিকার প্রশংসা করেন তিনি।