ফরিদপুর: জাতীয় নির্বাচনের আগে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ও আদেশের ওপর গণভোট আয়োজন, নির্বাচনে উভয় কক্ষে পিআর পদ্ধতি চালু করা ও লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা, ফ্যাসিস্ট সরকারের জুলুম নির্যাতন গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা, স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টিসহ ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার দাবিতে ফরিদপুরে গণ বিক্ষোভ মিছিল ও স্মারকলিপি দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ফরিদপুর জেলা শাখা।
রোববার (১২ অক্টোবর) দুপুরে শহরের জনতা ব্যাংকের মোড় থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়। এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
সমাবেশে বক্তব্য দেন জেলা আমীর মাওলানা মুহাম্মদ বদরুদ্দীন, সেক্রেটারি আব্দুল ওহাব, শিবিরের শহর শাখার সভাপতি আকমল হোসেন প্রমুখ।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার বরাবর স্মারকলিপির মাধ্যমে বিভিন্ন বিষয়ে আবেদন জানান। স্মারকলিপিতে উল্লেখ করেন, ‘জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রোডম্যাপ নির্ধারণ করা হয়েছে ম্যাপ অনুযায়ী অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও ভয়-ভীতি মুক্ত গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের আবেদন জানিয়ে আসছি। অভিজ্ঞতা অনুযায়ী কালো টাকার ব্যবহার বন্ধ, ভোট কেন্দ্র দখল, পেশিশক্তি প্রদর্শন ও ভোটের অনিয়ম ও অপতারপরতা বন্ধ, কোয়ালিটি সম্পূর্ণ পার্লামেন্ট এবং দক্ষ আইন প্রণেতা তৈরিসহ প্রতিটি ভোট মূল্যায়নের লক্ষ্যে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের জন্য জোর দাবিও জানিয়ে আসছি।’
স্মারকলিপিতে আর উল্লেখ করা হয়, ‘বিগত সরকার বিভিন্ন স্বৈরাচারী ও ফ্যাসিবাদী পক্ষেপের মাধ্যমে সংবিধান, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানসহ রাষ্ট্রীয় সকল প্রতিষ্ঠানকে রাজনীতি করণ করে ধ্বংস করেছে, হাজার হাজার বিরোধীদলীয় নেতাদের ওপর জুলুম নির্যাতন মামলা হামলা জেল-জরিমানা গুন খুন করে দেশপ্রেমিক কন্ঠকে স্তমিত করতে চেয়েছে। দিনের ভোট রাতে নির্বাচনের নামের জাতির সাথে প্রহসন করেছে। আর এসব অবৈধ কার্যকলাপকে জাতীয় পার্টি ও ১৪ দল শুধু প্রকাশ্যে সমর্থনই দেয় নাই বরং জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের সময় ছাত্র-জনতার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। সরকারের দোসর হিসেবে জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করতে জনগণ জোর দাবিও জানিয়ে আসছে।
আমরা মনে করি উল্লেখিত দাবিসমূহ বাস্তবায়িত হলে জনগণের আস্থা পুনরুদ্ধার হবে, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে এবং আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করা সম্ভব হবে যা বাংলাদেশকে একটি অনন্য উচ্চতায় আসীন করবে। তাই আমরা জনগণের পক্ষে উপরোক্ত পাঁচ দফা দাবি বাস্তবায়নের জন্য আপনার নিকট জোর দাবি জানাচ্ছি।’