ঢাকা: দেশের যে কয়টি প্রতিষ্ঠান নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার মধ্যে থাকে তার মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক অন্যতম। সেখানে প্রবেশ ও বের হওয়ার ক্ষেত্রেও অনেকগুলো চেকিং পয়েন্ট পার হতে হয়। এছাড়া, কোনো ধরনের মালামাল বের করতে গেলেও গেইট পাস ও কর্তৃপক্ষের অনুমতি লাগে। এমনকি ব্যাংকটির বাইরের পরিবেশ মনিটরিং করার জন্যও রয়েছে প্রচুর সিসিটিভ ক্যামেরা। এমন নিরাপত্তার মধ্যেই কেন্দ্রীয় ব্যাংকটির মালামাল চুরির ঘটনা ঘটেছে।
সম্প্রতি নিরাপত্তা ফাঁকি দিয়ে খুলে রাখা পুরনো লিফট, করিডোরের লোহার দরজা ও অন্যান্য সামগ্রী নিয়ে গেছে কে বা কারা। মূলত পূজার ছুটির শেষদিকে এসব মালামাল চুরি হয়ছে বলে জানা গেছে। গত বৃস্পতিবার (৯ অক্টোবর) মালামাল হারানোর বিষয়টি সামনে আসে। এত কঠোর মনিটরিংয়ের পরও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভারী মালামাল লাপাত্তা হওয়ায় নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। যদিও বিষয়টি ধামা-চাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন নিরাপত্তাকর্মীরা।
সূত্র জানায়, বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান ভবনেরর দুটো লিফট সম্প্রতি পরবির্তন করা হয়েছে। আর অ্যানেক্স ভবনের (৩০ তলা ভবন) করিডোরের দরজাও পরিবর্তন করা হয়। সেই পুরনো লিফট ও লোহার তৈরি দরজাগুলো বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্যান্টিন ভবনের সামনে এবং ডাচ বাংলা ব্যাংকের এটিএম বুথের (ফাস্ট ট্র্যাক) অদূরে ফাঁকা জায়গায় রাখা ছিল। কিন্তু সেগুলো সেখান থেকে চুরি হয়ে গেছে। সরেজমিনে গিয়ে আজ এমন চিত্রই দেখা গেছে।
জানা গেছে, বাংলাদেশ ব্যাংক ও ডাচ বাংলা ব্যাংকের মাঝামাঝি ওই জায়গাটা সিসিটিভি মনিটরিংয়ের আওতায় ছিল। কিন্তু চুরির সময় ক্যামেরাগুলো বন্ধ ছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। আর ক্যামেরাগুলো বন্ধ থাকার কারণে চুরির ঘটনা জানাজানির পরও কাউকে শনাক্ত করা যাচ্ছে না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন সারাবাংলাকে বলেন, এরকম ঘটনা তার জানা নেই। এমনকি বিষ্ময় প্রকাশ করেন তিনি বলেন, ‘নিলামে বিক্রি ও যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুতি ছাড়া এত ভারী মাল বের করা সম্ভব না। আর পিকআপ ভ্যান ছাড়া তো এসব মালামাল নিয়ে যাওয়াই যাবে না। বিষয়টি দেখছি। খোঁজ না নিয়ে বিস্তারিত বলা যাবে না।’