খুলনা: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর খুলনা মহানগর সভাপতি আলহাজ্ব মুফতী আমানুল্লাহ বলেছেন, পিআর নিয়ে আলোচনায় প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অনেকেই সংবিধানের দোহাই দেন। জুলাই সনদের অনেক বিষয়ও তো সংবিধানে নাই। তাহলে কি জুলাই সনদের বাস্তবায়নও সংবিধানের দোহাই দিয়ে বাধাগ্রস্থ করা হবে?
বুধবার (১৫ অক্টোবর) সকাল ১১টায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর খুলনা মহানগর ও জেলা শাখার উদ্যোগে এই মানবন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
জুলাই সনদের ভিত্তিতে পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন, নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা, গণহত্যার বিচার ও ফ্যাসিবাদের দোসরদের বিচারের আওতায় আনা এবং বিচারকালীন তাদের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণার দাবিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ঘোষিত কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে খুলনা নগরীর পাওয়ার হাউজ মোড়ে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
আলহাজ্ব মুফতী আমানুল্লাহ বলেন, সংবিধানের দোহাই দিয়ে মৌলিক সংস্কারকে বাধাগ্রস্ত করা যাবে না, জুলাই অভ্যুত্থানের চেতনাকে হত্যা করা যাবে না। সংবিধানের দোহাই দিয়ে যেন-তেন নির্বাচন জাতি মেনে নেবে না। বরং কাঙ্ক্ষিত মানের নির্বাচন হতে হবে। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে। পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হতে হবে। এটা জনগনের দাবি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশসহ আন্দোলনরত দলগুলোর দাবি।
মুফতী আমানুল্লাহ বলেন, ‘তফসিল ঘোষণার আগেই জুলাই সনদের বিষয়ে গণভোট আয়োজন করতে হবে। তা নাহলে জুলাই সনদের বাস্তবায়ন বাধাগ্রস্ত হবে এমনকি জাতীয় নির্বাচনও সংকটাপন্ন হওয়ার আশংকা দেখা দিতে পারে। একজন নির্বাচন কমিশনার একটি দলের মতো করে কথা বলছেন। গণভোট আয়োজনের সময় নিয়ে চলমান তর্ক একটি রাজনৈতিক বিতর্ক। এর আগেও পিআর নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার সংবিধানের দোহাই দিয়ে একটি দলের পক্ষালম্বন করেছিলেন। আমরা তারও নিন্দা জানাই।’
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর খুলনা মহানগর সেক্রেটারি মুফতী ইমরান হোসাইন ও জেলা সেক্রেটারি মো. রেজাউল করীমের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর খুলনা জেলা সভাপতি অধ্যাপক মাওলানা আব্দুল্লাহ ইমরান, খুলনা মহানগর সিনিয়র সহ-সভাপতি শেখ মো. নাসির উদ্দিন, সহ-সভাপতি আলহাজ্ব আবু তাহের, মাওঃ আবু সাঈদ, হাফেজ আব্দুল লতিফ, জয়েন্ট সেক্রেটারি মাওঃ দ্বীন ইসলাম, মো. শফিকুল ইসলাম, অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মো. ইমরান হোসেন মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওঃ সাইফুল ইসলাম ভূইয়া, প্রচার ও দাওয়াহ বিষয়ক সম্পাদক মো. তরিকুল ইসলাম কাবির, দপ্তর সম্পাদক মেহেদী হাসান সৈকত, এনামুল হাসান সাঈদ, অর্থ ও প্রকাশনা সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির, প্রশিক্ষণ সম্পাদক মুফতী ইসহাক ফরীদি, ছাত্র ও যুব বিষয়ক সম্পাদক ফেরদৌস গাজী সুমন, কৃষি ও শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মোল্লা রবিউল ইসলাম তুষার, মহিলা ও পরিবার কল্যাণ সম্পাদক কারী মো. জামাল উদ্দিন, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযুদ্ধা জিএম কিবরিয়া, আলহাজ্ব আব্দুস সালাম, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব মারুফ হোসেন, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক এইচ এম খালিদ সাইফুল্লাহ, সহ প্রচার ও দাওয়াহ বিষয়ক সম্পাদক মুফতী আমানুল্লাহ, সহ প্রশিক্ষণ সম্পাদক মো. মঈন উদ্দিন, গাজী মিজানুর রহমান, মো. নুরুজ্জামান বাবুল, মো. বাদশাহ খান, মো. মঈন উদ্দিন ভূঁইয়া, মো. কবির হোসেন হাওলাদার, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের মো. আবুল কালাম আজাদ, মো. পলাশ শিকদার, ইসলামী যুব আন্দোলনের মো. আব্দুর রশিদ, মুফতী ফজলুল হক ফাহাদ, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মো. মাহাদী হাসান মুন্না, হাবিবুল্লাহ মেসবাহ, শরিফুল ইসলাম, মোহাম্মদ নাজিম হাওলাদার নাঈম, মো. ওমর ফারুক, মোস্তফা কামাল, মো. লোকমান হোসেন, মো. জামিল জোয়ার্দার, মো. আবু দাউদ প্রমুখ।