Wednesday 15 Oct 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

জুলাই সনদ বাস্তবায়নের কিছু বিষয়ে সংশয় রয়েছে: আখতার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
১৫ অক্টোবর ২০২৫ ২১:১৬ | আপডেট: ১৫ অক্টোবর ২০২৫ ২২:১৫

এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫ বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া সংক্রান্ত কিছু বিষয়ে অস্পষ্টতার কারণে সংশয় তৈরি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেন। তিনি বলেছেন, সনদ সইয়ের শেষ মুহূর্তের কিছু বিষয় আমাদের মধ্যে সংশয়ের জায়গা তৈরি করেছে।

বুধবার (১৫ অক্টোবর) রাতে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের জরুরি বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।

আখতার হোসেন বলেন, ‘‘জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া সংক্রান্ত কিছু বিষয় এখনো অস্পষ্ট। ফলে সনদ সইয়ের শেষ মুহূর্তের কিছু বিষয় আমাদের মধ্যে সংশয়ের জায়গা তৈরি করেছে। জাতিকে অস্পষ্ট রেখে কোনো উদ্যোগ সফল করা সম্ভব নয়। আমরা ১৬ জুলাই যে খসড়াটি পেয়েছি, সেখানে ‘নোট অব ডিসেন্ট’-এর বিষয়গুলো পরিষ্কার করা হয়নি।”

বিজ্ঞাপন

‘নোট অব ডিসেন্ট’ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এই বিষয়গুলোকে একটি সঙ্গতিপূর্ণ জায়গায় আনা প্রয়োজন। এর একটি স্পষ্ট সংজ্ঞা এবং বাস্তবায়নের পথনকশা থাকা জরুরি। আমাদের লক্ষ্য জুলাই সনদের বাস্তবায়নের পথ পরিষ্কার করা। সব কিছু পরিষ্কার হওয়ার পর যদি সনদ সই হয়, সেটিই হবে আমাদের সাফল্য।’

এনসিপির সদস্য সচিব আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ যেন জবাবদিহিপূর্ণভাবে গণতান্ত্রিক পথে অগ্রসর হতে পারে, সে বিষয়ে ঐকমত্য কমিশনের রাজনৈতিক দলগুলো দীর্ঘ আলোচনার মধ্য দিয়ে এগিয়েছে। আমরা এক বছর ধরে বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করেছি, যেখানে কোনো সুস্পষ্ট বিকৃতি হয়নি।’

সংবিধান সংস্কার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘আমরা একটি আদেশের মাধ্যমে বাস্তবায়নের কথা বলেছি। সেটি যদি ‘সাংবিধানিক আদেশ’ নামে হয়, তাহলে অনেকের জায়গা থাকে। আমরা প্রস্তাব দিয়েছি এটি ‘জুলাই আদেশ’ বা ‘সাংবিধানিক সংস্কার আদেশ’ নামে হতে পারে। আমরা আশা করি প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে এ আদেশ বাস্তবায়ন করবেন।”

গণভোট প্রসঙ্গে আখতার হোসেন বলেন, ‘গণভোটের প্রশ্ন ও দিন-তারিখ এখনো পরিষ্কার নয়। এটি জাতির সামনে স্পষ্ট হওয়া প্রয়োজন।’

সংবিধান সংস্কার বিষয়ে তিনি আরও বলেন, ‘‘আমরা নতুন সংবিধান নয়, একটি ‘সংস্কার সংবিধান’ প্রণয়নের বিষয়ে একমত হয়েছি। সংসদ সদস্যরা ভবিষ্যতে ‘কনস্টিটিউয়েন্ট পাওয়ার’-এর দায়িত্ব পালন করবেন—এই বিষয়টিও পরিষ্কারভাবে সংজ্ঞায়িত হওয়া জরুরি।”

বৈঠকে তিনি বলেন, ‘আমরা কমিশনে বহুবার আলোচনা করেছি, মতভেদ থাকা সত্ত্বেও জাতির স্বার্থে ঐকমত্যে পৌঁছানোর চেষ্টা করছি। ঐকমত্য কমিশনও ধৈর্যের সঙ্গে আমাদের বক্তব্য শুনেছে।’

সারাবাংলা/এফএন/এইচআই
বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর