বরিশাল: পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় আবাসিক হোটেলে কক্ষে জোর করে প্রবেশ করে ভিডিও ধারণের অভিযোগে মো. হালিম নামে এক যুবককে ১৪ দিনের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকালে হোটেল কর্তৃপক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত হালিমকে স্থানীয়রা পাকড়াও করলে পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত এ শাস্তি দেন। অভিযুক্ত হালিম বরগুনার ফুলবুনিয়া এলাকার মৃত কামাল মৃধার ছেলে। তিনি কুয়াকাটার হোটেল কেয়ার নামে একটি টিনশেডের চার কক্ষের হোটেল ভাড়ায় নিয়ে চালাতেন।
জানা যায়, বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাত ৪টার দিকে অভিযুক্ত হালিম একটি আবাসিক হোটেলে প্রবেশ করে উদ্দেশ্যেপ্রণোদিতভাবে দুটি দুই সিট বিশিষ্ট রুমকে টার্গেট করে। সে কৌশলে রুমে প্রবেশ করে সেখানে থাকা নারী-পুরুষ পর্যটকদের ভিডিও ধারণ করেন ও বিভিন্নভাবে চাপ প্রয়োগ করে পুলিশের ভয়ভীতি দেখান।
একপর্যায়ে সেই পর্যটক রাতেই হোটেল ত্যাগ করেন। পরে বৃহস্পতিবার সকালে হোটেল কর্তৃপক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত হালিমকে পাকড়াও করে স্থানীয়রা। পরে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও কুয়াকাটা পৌরসভার প্রশাসক ইয়াসীন সাদেক উপস্থিত হয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে অভিযুক্ত হালিমকে ১৪ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।
অভিযোগকারী হোটেলের মালিক মো. শাকিল জানান, ‘আমাদের হোটেলে রাতে দুটি রুম ভাড়া দিয়ে আমি বিশ্রামে যাই। গভীর রাতে হোটেলের স্টাফদের চোখ ফাঁকি দিয়ে ওই রুমে কৌশলে প্রবেশ করে ভিডিও ধারণ করে। সকালে আমি জানতে পেরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করি।’
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইয়াসীন সাদেক বলেন, ‘হোটেল রুমে প্রবেশ করে পর্যটকদের জোর করে ছবি তোলার অভিযোগ এলে আমরা তাৎক্ষণিকভাবে অভিযুক্ত হালিমের মোবাইল চেক করি। মোবাইলে ওই ভিডিও পাওয়া যায়। পরে আমরা তাকে আইনের আওতায় নিয়ে আসি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা পর্যটকদের নিরাপত্তায় সার্বক্ষণিক কাজ করছি। এ ধরনের অপরাধীদের জন্য এটি একটি বার্তা। যাতে এমন দুঃসাহস আর কেউ না দেখায়।’