ঢাকা: ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় পুড়ে গেছে কার্গো ভিলেজ। ২২ ঘণ্টা পর এখনো উড়ছে ধোঁয়া।
রোববার (১৯ অক্টোবর) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে এ দৃশ্য দেখা গেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজ থেকে এখনো ধোঁয়া উড়ছে। আগুনে কার্গো ভিলেজ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আশপাশের এলাকা থেকেও গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে পোড়া। তবে বিমানের ফ্লাইট চলাচল অব্যাহত রয়েছে।
এ বিষয়ে ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার তালহা বিন জসিম বলেন, আগুন নেভানোর কাজ প্রায় শেষের দিকে। এখন পোড়া জায়গা থেকে কিছুটা ধোঁয়া উড়ছে। আমরা ফায়ার সার্ভিসের ৩৭টি ইউনিট সর্বোচ্চ চেষ্টা করয়েছি। তবে ক্ষয়ক্ষতির সঠিক পরিমাণ এখনো জানা যায়নি, তদন্ত চলছে।
ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল জানিয়েছেন, কার্গো কমপ্লেক্সে খোপ খোপ ও কনক্রিটের দেওয়ার কারণে প্রতিটি অংশকে আলাদাভাবে আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে হয়েছে। তবে বাতাস বেশি থাকায় খোলা জায়গার এক্সপোজ আইটেমগুলো দ্রুত পুড়ে গেছে। অগ্নিকাণ্ডের উৎস ও ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের জন্য অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় আলাদা তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
এদিকে আগুনে নষ্ট হয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত বহু ব্যবসায়ীর স্বপ্ন। ঘটনায় থমকে গেছে হাজারও প্রবাসীর যাত্রা। আগুনের কারণের ৭ ঘণ্টা বিমান চলাচল বন্ধ থাকার পর রাত থেকে বিমানবন্দরের কার্যক্রম ফের সচল হয়েছে।
এর আগে, শনিবার (১৯ অক্টোবর) দুপুর ২টা ১৫ মিনিটের দিকে বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজ এলাকায় আগুন লাগে। খবর পেয়ে দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। পরে আরও ইউনিট যোগ হয়ে মোট ১৩টি স্টেশনের ৩৭টি ইউনিট কাজ করে।
ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর দুটি ফায়ার ইউনিট, নৌবাহিনী ও সেনাবাহিনী আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। এ ছাড়া বিজিবির ২ প্লাটুন সদস্য উদ্ধার সহায়তায় যোগ দেয়। আর আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে ফায়ার সার্ভিস ও আনসারের ২৭ জন আহত হয়েছেন। তাদের সিএমএইচ ও কুর্মিটোলা হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।