ঢাকা: প্রবাসী কর্মীর সন্তানদের শিক্ষাবৃত্তি দেবে সরকার। এবার ২০২৫ সালের এসএসসি, ২০২৪ সালের এইচএসসি ও সমমান এবং ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করা প্রবাসী কর্মীর সন্তানরা আবেদন করতে পারবেন।
সম্প্রতি বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড।
প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক (আইআরপি) উপসচিব মো. ইমরান আহমেদ সই করা এ বিজ্ঞপ্তি বলা হয়েছে, প্রবাসী কর্মীর মেধাবী সন্তান যারা ২০২৫ সালের এসএসসি/সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একাদশ/সমমান অথবা ডিপ্লোমা কোর্সে (১ম সেমিস্টার/বর্ষে) অধ্যয়নরত এবং ২০২৪ সালে এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়/মেডিকেল কলেজে (১ম সেমিস্টার/বর্ষে) অধ্যয়নরত ও বাংলাদেশ কারগরি শিক্ষা বোর্ড হতে ২০২৪ সালে ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে দেশের বিভিন্ন প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (১ম সেমিস্টার/বর্ষে) অধ্যয়নরত, তাদের নিকট হতে শর্তসাপেক্ষে অনলাইনে দরখাস্ত আহ্বান করা যাচ্ছে।
এ সংক্রান্ত যে কোন তথ্যের জন্য ২৪/৭ প্রবাসবন্ধু কলসেন্টারের দেশ থেকে ১৬১৩৫ (টোল ফ্রি) এবং বিদেশ থেকে +৮৮০৯৬১০১০২০৩০ নম্বরে যোগাযোগ করা যাবে।
আবেদনের যোগ্যতা
- জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) ডাটাবেজের মাধ্যমে বহির্গমন ছাড়পত্র গ্রহণকারী অথবা ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের মেম্বারশিপ গ্রহণকারী প্রবাসী কর্মীর সন্তান এবং
- ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড হতে আর্থিক অনুদান পেয়েছেন বা পাবেন এমন মৃত প্রবাসী কর্মীর সন্তান।
তবে নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ সাপেক্ষে শিক্ষার্থীরা বৃত্তির আবেদন করতে পারবেন। এক্ষেত্রে ২০২৫ সালের এসএসসি/সমমান পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ ৫.০০ এবং মানবিক ও বাণিজ্য বিভাগে ৪.৭৫ পেতে হবে। আর ২০২৪ সালের এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগে ৪.৮০ এবং মানবিক ও বাণিজ্য বিভাগে ৪.৫০ থাকতে হবে। ২০২৪ সালে ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ৩.৫০ থাকতে হবে। তবে প্রবাসে মৃত কর্মীর সন্তান এসএসসি/এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৪.০০ এবং ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং-এ ৩.০০ পেলেই আবেদন করতে পারবেন।
আবেদনের জন্য মা–বাবা প্রবাসী কর্মী হওয়ার সপক্ষে প্রমাণক হিসেবে বিএমইটি বহির্গমন ছাড়পত্র সম্বলিত পাসপোর্টের কপি অথবা ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের সদস্যপদের পাসপোর্টের কপি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানের মুঠোফোন নম্বরসহ প্রত্যয়নপত্র, প্রবাসে মৃত কর্মীর সন্তানদের ক্ষেত্রে দূতাবাসের প্রত্যয়নপত্র, শিক্ষার্থীর যেকোনো ব্যাংকের হিসাব নম্বর ও রাউটিং নম্বরসহ স্টেটমেন্ট, শিক্ষার্থীর এক কপি ছবি ও স্বাক্ষর এবং শিক্ষার্থীর এনআইডি কার্ডের কপি। আবেদনের সঙ্গে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের স্ক্যান করে স্ক্যান কপি আপলোড করতে হবে।
আবেদন প্রক্রিয়া
শিক্ষার্থীদের অনলাইনে আবেদন করতে হবে। আবেদনের জন্য www.wewb.gov.bd অথবা http://stipen.wewb.gov.bd/stipend লিংকে ভিজিট করুন।
আবেদনের সময়সীমা: ২৫ নভেম্বর হতে ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
শর্ত
- শিক্ষার্থীর মোবাইল নম্বর এবং মাতা/পিতা/অভিভাবক এর মোবাইল নম্বর অবশ্যই আবেদনে উল্লেখ করতে হবে।
- প্রবাসী কর্মীর পাসপোর্টে উল্লিখিত নামের সাথে আবেদনকারীর সনদে উল্লিখিত পিতা/মাতার নামের গরমিল পরিলক্ষিত হলে আবেদন বাতিল বলে গণ্য হবে।
- শিক্ষাবৃত্তির আবেদন শুধু অনলাইনে করতে হবে, সরাসরি বা ডাকযোগে আবেদন গ্রহণ করা হবে না।
- অসম্পূর্ণ এবং ভুল তথ্য প্রদানকৃত আবেদন বাতিল বলে গণ্য হবে এবং বৃত্তি প্রদান সংক্রান্ত বিষয়ে কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে।