চুয়াডাঙ্গা: ‘মানসম্মত হেলমেট ও নিরাপদ গতি, কমবে জীবন ও সম্পদের ক্ষতি ’এ স্লোগানে চুয়াডাঙ্গায় জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস উদযাপিত হয়েছে। এ দিবসকে কেন্দ্র করে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (২২ অক্টোবর) সকালে ১০টায় দিবসটি উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) আয়োজনে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি শোভাযাত্রা বের হয়ে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে একই স্থানে এসে শেষ হয়।
এতে চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( সাবিক) আহমেদ মাহবুব-উল-ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( সদর সার্কেল) মোস্তাাফিজুর রহমান,অধ্যাপক সিদ্দিকুর রহমান, অধ্যাপক এস.এম. ইস্রাফিল বিআরটিয়ের সহকারী পরিচালক লিটন বিশ্বাস, সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক একেএম মইন উদ্দীন, বাস ও মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সমিতির সভাপতি এম. জেনারেল ইসলাম, ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন।
আলোচনা সভায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ও আহত ১১টি পরিবারের মাঝে ৪৫ লাখ টাকা তুলে দেওয়া হলো। চেক বিতরণে সফলতা নেই। যে পরিবারের একটি সন্তান বা স্বামী মারা গেছে তাদের খরচটা পুষিয়ে নেওয়া। সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতদের আবেদন এক মাসের মধ্যে পেলে তাদের ক্ষতিপূরণ বাবদ এক লাখ টাকা থেকে পাঁচ লাখ টাকা সরকারের পক্ষ থেকে অনুদান দেওয়া হয়। আমাদের সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি করতে পারলে সড়ক দুর্ঘটনা কমিয়ে আনতে পারব। সবাই যদি সচেতন ও সতর্কভাবে চলি তাহলে দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পাব। দুর্ঘটনা রোধে চালকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছি এবং আবারও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবো।’