বৈশ্বিক চলমান উত্তেজনায় ফের অপরিশোধিতে তেলের দাম বেড়েছে। রাশিয়ার দুটি প্রধান জ্বালানি তেল কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। এর পরেই তেলের দাম বেড়েছে ৫ শতাংশ।
বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টেবার) রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।
গ্রিনিচ মান সময় (জিএমপি) ১০টা ১৮ মিনিটে ব্রেন্ট ক্রুড ফিউচার্স ব্যারেল প্রতি ৩ দশমিক ৩৯ ডলার বা ৫ দশমিক ৪ শতাংশ বেড়ে ৬৫ দশমিক ৯৮ ডলারে দাঁড়িয়েছে, এবং ইউএস ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট ক্রুড ফিউচার্স ৩ দশমিক ৩১ ডলার বা ৫ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়ে ৬১ দশমিক ৮১ ডলারে পৌঁছায়।
ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট বুধবার বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট পুতিনের এই সংবেদনহীন যুদ্ধ বন্ধ করতে অস্বীকার করার পরিপ্রেক্ষিতে, ট্রেজারি বিভাগ ক্রেমলিনের যুদ্ধযন্ত্রে অর্থায়নকারী রাশিয়ার দুটি বৃহত্তম তেল কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে। নতুন এই নিষেধাজ্ঞাগুলো রাশিয়ার বৃহত্তম তেল কোম্পানিগুলির মধ্যে রোসনেফট ও লুকঅয়েলকে নিশানা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন-রাশিয়ার তেল কোম্পানির ওপর ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞা
চীন ও ভারতের মতো দেশগুলো যারা রাশিয়ার তেল কিনছে, তাদের ওপর এখনো কোনো নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়নি। তবে ট্রাম্প বলেছেন, আগামী সপ্তাহে দক্ষিণ কোরিয়ায় এপেক সম্মেলনে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং-এর সঙ্গে বৈঠকে তিনি বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবেন।
ট্রাম্প আরও জানান, তিনি রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন-এর সঙ্গে পরিকল্পিত বৈঠকটি বাতিল করেছেন। রাশিয়ার পক্ষ থেকে এখনো এ বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।
এছাড়া রুশ কূটনীতিকদের ওপর নতুন ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা এবং রাশিয়ার ১১৭টি জাহাজ (যেগুলো নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে তেল ও গ্যাস পরিবহন করে) কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।