Friday 24 Oct 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘বৃহৎ প্রতিবেশীদের ছায়ায় বাংলাদেশ প্রাপ্য আন্তর্জাতিক মনোযোগ পাচ্ছে না’

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট
২৪ অক্টোবর ২০২৫ ০৯:৫৫

পরবর্তী মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনীত ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন।

ঢাকা: ঢাকায় পরবর্তী মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প মনোনীত ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেছেন, ‘বাংলাদেশ বিশ্বের অষ্টম জনবহুল দেশ হলেও এটি বৃহৎ প্রতিবেশীদের ছায়ায় পড়ে আছে। এ জন্য বাংলাদেশ তার প্রাপ্য আন্তর্জাতিক মনোযোগ সবসময় পাচ্ছে না।’

বুধবার (২২ অক্টোবর) রাতে পরবর্তী মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনীত ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন সিনেট শুনানিতে বাংলাদেশ বিষয়ে দেওয়া লিখিত বক্তব্যে এসব কথা বলেছেন।

মার্কিন সিনেটের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটিতে উপস্থাপিত শুনানিতে তিনি বলেন, ‘২৪-এর আগস্টে শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে সংঘটিত বিক্ষোভ ১৫ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা সরকারের পতন ঘটিয়েছে। এখন দেশটি নির্বাচনে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এটি কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন হতে চলেছে। এর মধ্য দিয়ে গঠিত হবে নতুন একটি সরকার। বাংলাদেশবাসী একটি নতুন পথ বেছে নেবে। একটি উজ্জ্বল এবং গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের দিকে বাংলাদেশের ওই যাত্রাকে পুরোপুরি সমর্থন করে যুক্তরাষ্ট্র।’

বিজ্ঞাপন

ক্রিস্টেনসেন জানান, তার মনোনয়ন চূড়ান্ত হলে ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের দলকে নিয়ে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার এবং ভবিষ্যৎ গণতান্ত্রিক সরকারের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করবেন।

মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত লিখিত বক্তব্যে ক্রিস্টেনসেন উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের জন্য কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ। দেশটির অবস্থান একে উন্মুক্ত, নিরাপদ ও সমৃদ্ধ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের অপরিহার্য অংশে পরিণত করেছে।

বাংলাদেশকে এশিয়ার ‘নতুন টাইগারদের’ অন্যতম উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘দেশটি বড় বড় চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করে আজ স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উত্তরণের দোরগোড়ায় পৌঁছেছে, যা নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের জনগণের দৃঢ়প্রতিজ্ঞা, কঠোর পরিশ্রম এবং সহনশীলতার প্রতিফলন।’

ক্রিস্টেনসেন জানান, যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ সম্প্রসারণ, বাণিজ্য প্রতিবন্ধকতা হ্রাস এবং দুই দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও মজবুত করতে তিনি কাজ করবেন।

রোহিঙ্গা ইস্যু উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ১৩ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে। ২০১৭ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় রোহিঙ্গাদের সহায়তায় অসাধারণ ভূমিকা রেখে চলেছে। যুক্তরাষ্ট্র এই মানবিক সহায়তার বড় অংশ বহন করছে, যা দীর্ঘমেয়াদে টেকসই নয়। এ ক্ষেত্রে অন্য দেশগুলোকেও এগিয়ে আসতে হবে। আর্থিক সহায়তা বাড়াতে হবে, যাতে এই ভার আমাদের একার কাঁধে না থাকে। একই সঙ্গে জাতিসংঘ ও অন্যান্য অংশীদার সংস্থার সঙ্গেও কাজ করে সহায়তা কার্যক্রমের সমন্বয় জোরদার করতে হবে।

ক্রিস্টেনসেন জানান, চূড়ান্ত অনুমোদন পেলে তিনি বাংলাদেশ সরকার, আন্তর্জাতিক অংশীদার এবং মার্কিন প্রশাসনের সহকর্মীদের সঙ্গে সমন্বয় করে রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধানে কাজ করবেন।

সারাবাংলা/একে/এনজে
বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর