ঢাকা: পূর্ব ঘোষণা বা প্রস্ততি ছাড়াই অবৈধ পণ্যের অনুপ্রবেশ ও চোরাচালান রোধে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে সন্ধ্যা ৬ টার পর সকল ধরনের আমদানি-রফতানির বন্ধ রাখার উদ্যোগ সামগ্রিক বাণিজ্যিক কার্যক্রমে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে মনে করে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)।
রোববার (২৬ অক্টোবর) ডিসিসিআই’র এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
উল্লেখ্য, দেশের সর্ববৃহৎ এ স্থলবন্দরটি দিয়ে পার্শবর্তী দেশ ভারতের সাথে বাংলাদেশের পণ্য আমাদানি-রপ্তানির কার্যক্রমের বেশিরভাগ সম্পন্ন হয়ে থাকে।
বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ-এর তথ্য মতে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে এ স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশের আমদানি-রফতানির পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ২০ লাখ ১১ হাজার ২৬৮ মেট্রিক টন ও ৪ লাখ ২১ হাজার ৭১৩ মেট্রিক টন পণ্য।
ডিসিসিআই’র মতে, এ ধরনের অনাকাঙ্খিত সিদ্ধান্তের ফলে ব্যবসায়ীরা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হবে। পাশাপাশি স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ রাজস্ব হারাবে। এছাড়াও আমাদানি-রফতানির সময়সীমা সংক্ষিপ্ত হওয়ায় বন্দরের উভয় পাশে অপেক্ষমান অসংখ্য পণ্যবাহী ট্রাকে বিশেষ করে পঁচনশীল পণ্যদ্রব্য নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশংকা তৈরি হয়েছে। এ সিদ্ধান্ত সার্বিকভাবে সকল সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের ক্ষতিগ্রস্ত করবে এবং আন্তর্জাতিক ব্যবসায়ে লিড টাইম বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হবে।
ডিসিসিআই বলেছে, অবৈধ পণ্যের অনুপ্রবেশ ও চোরাচালান রোধকল্পে বন্দর কর্তৃপক্ষ ও দেশের আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সমন্বয়ে প্রয়োজনীয় কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন, তবে এর ভিত্তিতে সর্ববৃহৎ এ বন্দরের আমদানি-রফতানি কার্যক্রম বন্ধ রাখার উদ্যোগ কোনভাবেই সমীচিন নয়। কারণ স্বাভাবিক ব্যবসায়ীদের কার্যক্রম চলমান থাকলে চোরাচালান হ্রাস পাবে।
এ প্রেক্ষিতে ব্যবসায়িক কার্যক্রমের বিদ্যমান অচলাবস্থার উত্তরণে আরোপিত এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারে অনতিবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বন্দর কর্তৃপক্ষ-এর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ডিসিসিআই।