Monday 27 Oct 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

দেশে ভোটকেন্দ্র ৪২ হাজার ৭৬১: ইসি সচিব আখতার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
২৭ অক্টোবর ২০২৫ ১৩:৩৭ | আপডেট: ২৭ অক্টোবর ২০২৫ ১৫:৫৩

ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ। ছবি: সারাবাংলা

ঢাকা: আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেশের ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৪২ হাজার ৭৬১টি। সোমবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ চূড়ান্ত ভোটকেন্দ্রের তালিকা প্রকাশ করেছেন।

‎তিনি বলেন, মোট ভোট কেন্দ্র ৪২ হাজার ৭৬১ টি। এতে মোট ভোট কক্ষ রয়েছে ২ লাখ ৪৪ হাজার ৬৪৯ টি। এরমধ্যে পুরুষ ভোটকক্ষ ১ লাখ ১৫ হাজার ১৩৭ টি। আর মহিলা ভোট কক্ষ ১ লাখ ২৯ হাজার ৬০২ টি। অস্থায়ী ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা প্রাথমিকভাবে ১৪টি, যেখানে প্রায় ১২ হাজার ভোটকক্ষ থাকবে।

‎তিনি আরও বলেন, নতুন রাজনৈতিক দল ও দেশীয় পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন এ সপ্তাহেই হবে।

‎এনসিপির প্রতীক ইস্যুতে বলেন, বিধিমালায় শাপলা প্রতীক না থাকায় এনসিপিকে শাপলা দেওয়ার সুযোগ নেই। নির্বাচন কমিশন স্ববিবেচনায় অন্য প্রতীক দিয়ে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করবে।
‎‎
‎একটি ভোটকেন্দ্রে গড়ে ৩ হাজার ভোটার থাকবে। এটি ‘ক্যাচমেন্ট এরিয়া’ হিসেবে ধরা হয়েছে। ভোট ব্যবস্থাপনায় পরবর্তীতে প্রয়োজনে এই সংখ্যা সামঞ্জস্য করা হবে।

‎রাজনৈতিক দল ও পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন বিষয়ে ইসি সচিব বলেন, ‘কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী দুটি বিষয়ে কিছুটা পিছিয়ে আছে কমিশন। সেপ্টেম্বরে দল নিবন্ধন ও মধ্য অক্টোবরে পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন শেষ করার কথা রয়েছে।’

‎তিনি জানান, দুটি জায়গায় অগ্রগতি কিছুটা ধীর। একটি হলো রাজনৈতিক দল নিবন্ধন, অন্যটি পর্যবেক্ষক সংস্থা নিবন্ধন। ২২টি রাজনৈতিক দলকে আমরা প্রাথমিকভাবে বিবেচনাযোগ্য মনে করেছি। এদের বিষয়ে মাঠপর্যায়ে অতিরিক্ত কিছু তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। ইনশাআল্লাহ, এই সপ্তাহের মধ্যেই তা সম্পন্ন করতে পারব।

‎এক প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, ‘হ্যাঁ, আমরা সামান্য পিছিয়ে আছি, তবে দুশ্চিন্তার কিছু নেই। বাকি সময়ের মধ্যেই সবকিছু কাভার করা সম্ভব হবে। ‎আশা করছি, এই সপ্তাহের মধ্যেই পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধনও শেষ হবে।’

‎পর্যবেক্ষক সংস্থার বিষয়ে তিনি জানান, দেশীয় পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলোর পর্যালোচনা চলছে। কিছু জায়গায় সাংবাদিকদের তথ্য-সীমাবদ্ধতা পূরণ করেছেন।

‎এদিকে, জোটের মনোনীত প্রার্থীকে নিজ দলের প্রতীকে ভোট করার বিধান নিয়ে আপত্তি তুলেছে বিএনপি। দলটির পক্ষ থেকে আগের বিধান তথা জোটের যেকোনো দলের প্রতীকে ভোট করার সুযোগ দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।

‎নির্বাচন কমিশনে আরপিও পুনরায় সংশোধনে বিএনপি’র দাবির বিষয়ে ইসি সচিব বলেন,
‎’বর্তমানে বিষয়টি আইন মন্ত্রণালয়ে রয়েছে, কমিশন পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেবে।’

‎আরপিও সংশোধনের পরে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের বিষয় নিয়ে ইসি সচিব জানান, আরপিও সংশোধনের আগে ঐকমত্য কমিশন দীর্ঘ সময় রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করেছে। এখন পর্যন্ত কোনো সাংঘর্ষিক বিষয় দেখা যায়নি। তাই অনুমান নির্ভর মন্তব্য করা ঠিক হবে না।

‎তিনি জানান, নির্বাচন কমিশন আরপিও প্রস্তাবনাগুলো পাঁচটি দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচনা করেছে, যেগুলো স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য মনে হয়েছে, যেগুলো ভাষাগত বা সংখ্যাগতভাবে সামান্য সংশোধনযোগ্য। যেগুলো বিদ্যমান আইনে পর্যাপ্তভাবে নির্ধারিত, এবং যেগুলো কমিশনের নিজস্ব বিবেচনায় সংশোধনযোগ্য মনে হয়েছে সেগুলো রাজনৈতিক ঐক্যমত ছাড়া সম্ভব নয়। এই পাঁচটি দিক বিবেচনা করেই সংশোধন প্রস্তাবনাটি উপদেষ্টা পরিষদে পাঠানো হয়েছে এবং তারা নীতিগত সম্মতি দিয়েছেন।

‎গণভোট প্রসঙ্গে ইসি সচিব বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনে এখনো পর্যন্ত কোনো গণভোট সম্পর্কিত তথ্য আসেনি। তাই অনুমানভিত্তিক কোনো মন্তব্য করা উচিত নয়। যে বিষয়টি কমিশনে আনুষ্ঠানিকভাবে আসেনি, সে বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারব না।’

‎এ সময় শনিবার রাতে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনের সামনে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনার প্রসঙ্গে আখতার আহমেদ বলেন, ‘এটা নিঃসন্দেহে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। পুলিশ তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে আটক করেছে। পুলিশ মামলা করেছে এবং তদন্ত করছে। যার কাজ, সে-ই করবে। কমিশন তার দায়িত্বেই মনোযোগ দিচ্ছে।’
‎‎
‎নির্বাচনি প্রস্তুতির অগ্রগতি বিষয়ে কথা বলেন সচিব বলেন, ‘৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। রাজনৈতিক দল ও পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন এই সপ্তাহে সম্পন্ন হলে প্রস্তুতি শতভাগে পৌঁছাবে।’

‎নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনে এনসিপির দাবির বিষয়ে আখতার আহমেদ বলেন, ‘এই বিষয়ে আমার কোনো মন্তব্য নেই। রাজনৈতিক বিষয় কমিশনের এখতিয়ারের বাইরে। তিনি বলেন, আমরা আমাদের সাংবিধানিক দায়িত্বের জায়গা থেকে কাজ করছি। সবাই সহযোগিতা করলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই নির্বাচন সফলভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব হবে।’

বিজ্ঞাপন
‎সারাবাংলা/এনএল/এনজে
বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর