ঢাকা: পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণকারী বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের সঙ্গে পাকিস্তানের হালালবিষয়ক সংস্থা পাকিস্তান হালাল অথরিটি (পিএইচএ) এর মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। জাতীয় মান প্রণয়নে দু’দেশের মধ্যে সহযোগিতার বিষয়টি প্রাধান্য দিতে এই স্মারক সই হয়েছে।
সোমবার (২৭ অক্টোবর) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ পাকিস্তানের যৌথ অর্থনেতিক কমিশনের ৯ম বৈঠকে এ সমঝোতা স্মারক সই হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ ও পাকিস্তানের পক্ষে নেতৃত্ব দেন দেশটির পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী আলী পারভেজ মালিক। বাংলাদেশের পক্ষে শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাকসুরা নূর ও পাকিস্তানের পক্ষে বাংলাদেশে নিয়োজিত পাকিস্তানের হাই কমিশনার ইমরান হায়দার সমঝোতা স্মারকে সই করেন।
সমঝোতা স্মারক সইয়ের ফলে বিএসটিআই অনুমোদিত হালাল পণ্য পাকিস্তানে রফতানি করা যাবে। বিএসটিআইয়ের হালাল সনদ থাকলে তা পাকিস্তানে বিনা পরীক্ষায় প্রবেশ করতে পারবে। অন্যদিকে পাকিস্তানের হালাল অথরিটি (পিএইচএ) এর সনদ থাকলে তা বাংলাদেশেও বিনা পরীক্ষায় প্রবেশ করবে। এটি উভয় দেশের মধ্য বাণিজ্য সম্পর্ক জোরদার করার একটি প্রচেষ্টা। এর ফলে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে হালাল পণ্যের রফতানি বাণিজ্যের পথ সুগম করবে ও দ্বি-পাক্ষিক বাণিজ্যিক সম্পর্ককে আরও জোরদার করবে।
অনুষ্ঠানে সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘দুইদেশের সম্পর্ক উন্নয়নে বিভিন্ন বিষয় গুরুত্ব পেয়েছে। এ ছাড়া সার্ককে আরও পুনরুজ্জীবিত করার চেষ্টা চলছে।‘ এই বৈঠকে দুই দেশের জনগণের সম্পর্কেরও উন্নয়ন হবে বলে তিনি আশা করেন।
আলী পারভেজ মালিক বলেন, ‘বিএসটিআইয়ের সঙ্গে হালাল পণ্যবিষয়ক একটা চুক্তি সই হয়েছে। যেখানে বলা হয় বিএসটিআই অনুমোদিত যেকোনো হালাল পণ্য পাকিস্তানে রফতানি করা যাবে এবং পাকিস্তান তা গ্রহণ করবে। অন্যদিকে পাকিস্তানের পিএইচএ যে হালাল সনদ প্রদান করবে তা বাংলাদেশ গ্রহণ করবে।’