Monday 27 Oct 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

দেশের সর্ববৃহৎ ভাসমান সৌর বিদ্যুৎ প্ল্যান্ট স্থাপন করল ওয়ালটন

সারাবাংলা ডেস্ক
২৭ অক্টোবর ২০২৫ ১৮:১৬ | আপডেট: ২৭ অক্টোবর ২০২৫ ১৯:১৩

ওয়ালটন হেডকোয়ার্টার্সে ১ মেগাওয়াট ক্ষমতার দেশের সর্ববৃহৎ সোলার পাওয়ার প্ল্যান্ট। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: বাংলাদেশের শিল্পখাতে টেকসই ও পরিবেশবান্ধব জ্বালানি ব্যবহারে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি। নিজস্ব অর্থায়নে প্রতিষ্ঠানটি গাজীপুরের চন্দ্রায় সদর দফতরের জলাশয়ের ওপর স্থাপন করেছে দেশের সর্ববৃহৎ বেসরকারি ভাসমান সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র।

সম্প্রতি ১ মেগাওয়াট ক্ষমতার এই ফ্লোটিং সোলার পাওয়ার প্ল্যান্ট চালু হয়েছে। এটি শুধু নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহারই নয়, বরং শিল্পখাতে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির বাস্তব প্রয়োগেরও এক অনন্য উদাহরণ।

এর আগে চাঁপাইনবাবগঞ্জের বুলনপুরে ২.৩ মেগাওয়াট ক্ষমতার সোলার প্রজেক্টে আংশিকভাবে (০.৮ মেগাওয়াট) ভাসমান সৌর প্যানেল ব্যবহার করা হয়েছিল। তবে ওয়ালটনের এই প্রকল্পটি দেশের শিল্পখাতে এককভাবে স্থাপিত সর্ববৃহৎ ফ্লোটিং সোলার বিদ্যুৎ কেন্দ্র।

বিজ্ঞাপন
ওয়ালটন হেডকোয়ার্টার্সে ১ মেগাওয়াট ক্ষমতার দেশের সর্ববৃহৎ সোলার পাওয়ার প্ল্যান্ট। ছবি: সংগৃহীত

ওয়ালটন হেডকোয়ার্টার্সে ১ মেগাওয়াট ক্ষমতার দেশের সর্ববৃহৎ সোলার পাওয়ার প্ল্যান্ট। ছবি: সংগৃহীত

রোববার (২৬ অক্টোবর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

ওয়ালটনের এনভায়রনমেন্ট, হেলথ অ্যান্ড সেফটি বিভাগের প্রধান মোস্তাফিজুর রহমান রাজু বলেন, ‘এই ফ্লোটিং সোলার পাওয়ার প্ল্যান্টের মাধ্যমে ওয়ালটন বাংলাদেশের শিল্পখাতে নবায়নযোগ্য টেকসই শক্তি ব্যবহারে আরেকটি নতুন মাইলফলক স্থাপন করেছে। প্রকৃতি ও প্রযুক্তির মধ্যে ভারসাম্যই টেকসই উন্নয়নের চাবিকাঠি— ওয়ালটনের উদ্যোগ তারই প্রমাণ।’

তিনি জানান, এই সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র শুধু বিদ্যুৎ উৎপাদনই করছে না; পাশাপাশি মাছ চাষ, ভূমি সংরক্ষণ, পানির বাষ্পীভবন কমানো ও পরিবেশ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। উৎপাদিত অতিরিক্ত বিদ্যুৎ নেট মিটারিং সিস্টেমের মাধ্যমে জাতীয় গ্রিডে সংযুক্ত হচ্ছে, যা জাতীয় বিদ্যুৎ সরবরাহে ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে।

ওয়ালটন ইতোমধ্যে আরও দুটি জলাশয়ে একই ধরনের ফ্লোটিং সোলার প্রকল্প বাস্তবায়নের পরিকল্পনা নিয়েছে।

প্রকল্পে ব্যবহৃত ফুড-গ্রেড প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি ফ্লোটিং স্ট্রাকচারগুলো পানি ও জলজ প্রাণীর জন্য নিরাপদ। প্যানেলগুলো এমনভাবে স্থাপন করা হয়েছে যাতে মাছের জীবনচক্রে কোনো বিঘ্ন না ঘটে। প্রকল্পটি আগামী ২০ বছর পর্যন্ত টেকসইভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষম হবে বলে জানানো হয়।

ওয়ালটন সদর দফতরে রুফটপ, ফুটপাত ও খালি স্থানে ১০ মেগাওয়াট সৌরশক্তি প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। এছাড়া ইটিপি’র মাধ্যমে প্রক্রিয়াজাত পানির ৭৫ শতাংশ পুনঃব্যবহার, ই-বর্জ্য সংগ্রহ ও পুনর্ব্যবহার, এবং প্লাস্টিক আপসাইক্লিংয়ের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি পরিবেশ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

এসব উদ্যোগের ফলে ওয়ালটন এখন পর্যন্ত ৯ লাখ ১১ হাজার ৮২৩ মেট্রিক টন কার্বন ডাই-অক্সাইড নিঃসরণ হ্রাস এবং সামগ্রিক কার্বন ফুটপ্রিন্ট ১০ শতাংশ কমাতে সক্ষম হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর