জবি: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) উপচার্য অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম, পিএইচডি বলেন, ‘শিগগিরই বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘গবেষণা সপ্তাহ’ আয়োজন করা হবে, যা শিক্ষার্থী ও শিক্ষক উভয়ের জন্য গবেষণায় উৎসাহ জোগাবে।’
সোমবার (২৭ অক্টোবর) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
উপাচার্য বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের আবাসন সংকট নিরসন সময়সাপেক্ষ হলেও আমরা এই সমস্যার সমাধানে আন্তরিকভাবে কাজ করছি। আশা করছি আগামী বছরের মধ্যে আংশিক সমাধান সম্ভব হবে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রগতি ও মর্যাদা রক্ষায় আমাদের প্রতিটি পদক্ষেপই হবে আন্তরিকতার সঙ্গে, আর সেই প্রচেষ্টায় শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারী সবার সম্মিলিত প্রয়াসই হবে আমাদের প্রধান শক্তি।’
বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘২০০৫ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশের সর্বাধিক জনপ্রিয় দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, যার ফলে আজ আমরা এই বিশ্ববিদ্যালয়ে নানা শিক্ষা ও গবেষণামূলক কার্যক্রম সফলভাবে পরিচালনা করতে পারছি। গত এক বছরে আমাদের অর্জন সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরাই ভালোভাবে অবগত। আমরা যখন দায়িত্ব গ্রহণ করি, তখন শিক্ষার্থী সংশ্লিষ্ট বাজেট ছিল অত্যন্ত সীমিত। বর্তমানে সেই বাজেট উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বৃদ্ধি করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আগামীতে আমরা একাডেমিক উৎকর্ষের ধারাবাহিকতা রক্ষা ও অগ্রগতির জন্য কাজ করব। নিয়মিত ক্লাস মনিটরিং সিস্টেম অব্যাহত থাকবে এবং ফলাফল প্রকাশে যেন অযথা বিলম্ব না হয়, সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। পাশাপাশি শিক্ষকদের গবেষণা কার্যক্রমে শিক্ষার্থীদের গবেষণা সহকারী হিসেবে সম্পৃক্ত করা হচ্ছে, যাতে তারা গবেষণার বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারেন।’
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. মোশাররাফ হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন ও শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদ্দীন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ট্রেজারার অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন বলেন, ‘গত এক বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক অগ্রযাত্রায় বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য অর্জিত হয়েছে। শিক্ষার্থীদের আবাসন সংকট নিরসনে ইতোমধ্যে আংশিক অগ্রগতি সাধিত হয়েছে এবং আরও বিস্তৃত সমাধানের জন্য কাজ চলছে।
তিনি আরও বলেন, ‘এইসব নতুন উদ্যোগ ও সংস্কারমূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্রমাগত উন্নয়নের পথে অগ্রসর হচ্ছে। আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা, নিষ্ঠা ও সহযোগিতাই জবিকে আরও সমৃদ্ধ, আধুনিক ও গৌরবময় উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিণত করবে।’
‘ঐক্যবদ্ধ জবিয়ান, স্বপ্ন জয়ে অটল প্রাণ’ প্রতিপাদ্যকে ধারণ করে দিনব্যাপী নানা আয়োজনের মাধ্যমে উৎযাপন হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। আয়োজনে ছিল র্যালি, চারুকলা ও আলোকচিত্র প্রদর্শনী, আলোচনা সভা এবং দোয়া মাহফিলসহ নানা অনুষ্ঠান।
উল্লেখ্য, ২০ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয় দিবস হলেও বিশ্ববিদ্যালয় ছুটি থাকার জন্য ২২ অক্টোবর উৎযাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী জুবায়েদ হত্যাকাণ্ডের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় দিবস স্থগিত করে আজ তা উৎযাপন করা হয়।