Monday 27 Oct 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

নাফিসা কামালসহ ৮ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
২৭ অক্টোবর ২০২৫ ১৯:২০ | আপডেট: ২৭ অক্টোবর ২০২৫ ২০:০০

নাফিসা কামাল। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: প্রতারণার মাধ্যমে প্রায় ৩৩ কোটি ৪৪ লাখ টাকা মানিলন্ডারিং এর অভিযোগে মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রফতনির সিন্ডিকেটের অন্যতম সদস্য নাফিসা কামাল ও তার প্রতিষ্ঠান অরবিটালস ইন্টারন্যাশনালসহ ৮ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা করেছে সিআইডি।

সোমবার (১৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান বিষয়টি জানিয়েছেন।

মামলার আসামিরা হলেন- নাফিসা কামাল ও তার জনশক্তি রফতানি প্রতিষ্ঠান অরবিটালস ইন্টারন্যাশনাল, তার সহযোগী সিন্ডিকেট সদস্য- হাফিযুল বারী মোহাম্মদ লুৎফর রহমান (স্বত্ত্বাধিকারী- ইরভিং এন্টারপ্রাইজ), রফিকুল ইসলাম পাটোয়ারী (স্বত্ত্বাধিকারী- আমান এন্টারপ্রাইজ), জসিম উদ্দিন আহমেদ (স্বত্ত্বাধিকারী- আহাদ ইন্টারন্যাশনাল লি.), মো. আকতার হোসাইন (স্বত্ত্বাধিকারী- আক্তার রিক্রুটমেন্ট এজেন্সি), শিউলী বেগম (স্বত্ত্বাধিকারী- মালয়েশিয়া বাংলাদেশ হোল্ডিংস লি.), কাউসার মৃধা (স্বত্ত্বাধিকারী- মৃধা ইন্টারন্যাশনাল করপোরেশন) ও মোহাম্মদ বশির (স্বত্ত্বাধিকারী- রাব্বি ইন্টারন্যাশনাল)।

বিজ্ঞাপন

জসীম উদ্দিন বলেন, ‘প্রতারণাপূর্বক প্রায় ৩৩ কোটি ৪৪ লাখ ৬৩ হাজার ৬১০ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে গুলশান থানায় আজ সোমবার তাদের বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে প্রাথমিক তথ্য প্রমাণ পাওয়া গেছে।’

তিনি বলেন, ‘অভিযুক্তরা পরস্পর যোগসাজশে প্রতারণার মাধ্যমে ২০২২ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত মোট ৩১১১ জন কর্মী মালয়েশিয়ায় পাঠায়। সরকার নির্ধারিত জনপ্রতি ফি ৭৮ হাজার ৯৯০ টাকার বিপরীতে অবৈধভাবে জনপ্রতি ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা গ্রহণ করে। এ ছাড়া, সরকারিভাবে পাসপোর্ট খরচ, কোভিড-১৯ পরীক্ষাবাবদ, মেডিকেল ফি ও পোষাক সংক্রান্ত ফি এর বাইরে প্রতি কর্মীর কাছ থেকে ৩৬ হাজার ৫০০ টাকা অতিরিক্ত গ্রহণ করার তথ্য পাওয়া যায়।‘

সিন্ডিকেটের অন্যতম সদস্য নাফিসা কামাল ও তার জনশক্তি রফতানি প্রতিষ্ঠান অরবিটালস ইন্টারন্যাশনালসহ অন্যান্য অভিযুক্তরা পরস্পর সংঘবদ্ধভাবে সরকার নির্ধারিত ফি এর বাইরে জনপ্রতি অতিরিক্ত ১ লাখ ৭ হাজার ৫১০ টাকা এবং মোট ৩৩ কোটি ৪৪ লাখ ৬৩ হাজার ৬১০ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার প্রাথমিক তথ্য প্রমাণ পাওয়া যাওয়ায় মানিলন্ডারিং মামলা করে সিআইডি।

সিআইডর এই কর্মকর্তা বলেন, ‘বর্তমানে মামলাটির তদন্ত কার্যক্রম ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট পরিচালনা করছে। মামলাটির তদন্ত পরিক্রমায় অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নামে দেশের বিভিন্ন স্থানে স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির সন্ধান করা হচ্ছে। অপরাধের পূর্ণাঙ্গ তথ্য উদঘাটন, অপরাপর সদস্যদের শনাক্ত ও গ্রেফতারে সিআইডির সাঁড়াশি অভিযান অব্যাহত থাকবে।’

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর