ঢাকা: আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন করতে নয় দফা লিখিত প্রস্তাব দিয়েছে গণঅধিকার পরিষদ। এর অন্যতম প্রস্তাব— অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো উপদেষ্টা যেন নির্বাচনে অংশ নিতে না পারেন।
বুধবার (২৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায় আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) সঙ্গে বৈঠকে দলের সভাপতি নুরুল হক নুর এ প্রস্তাবনাগুলো পেশ করেন।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘উপদেষ্টাদের নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হলে নির্বাচনের নিরপেক্ষতা ও লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তাই দায়িত্বে থাকা অবস্থায় কারও প্রার্থী হওয়া উচিত নয়।’
গণঅধিকার পরিষদের বাকি প্রস্তাবগুলো হলো—
- প্রবাসী ভোটাধিকার: বিদেশে থাকা বাংলাদেশিদের ভোট প্রদানের সুযোগ নিশ্চিত করা।
- নির্বাচনী নিরপেক্ষতা: রিটার্নিং অফিসার ও প্রিসাইডিং অফিসারসহ গুরুত্বপূর্ণ পদে দলীয় প্রভাবমুক্ত ব্যক্তিদের নিয়োগ।
- কেন্দ্র দখল ও কালোভোট প্রতিরোধ: সাংবাদিকদের প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা এবং অনিয়মের অভিযোগে তাৎক্ষণিকভাবে ভোট বন্ধ রাখা।
- ভোট পর্যবেক্ষণ: প্রতিটি কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা স্থাপন ও কেন্দ্রের বাইরে জায়ান্ট স্ক্রিনে ভোট ও গণনা কার্যক্রম প্রদর্শন।
- ব্যালট বাক্স নিরাপত্তা: পরিবহনকালীন সার্বক্ষণিক প্রার্থীর এজেন্টদের উপস্থিতি নিশ্চিত করা।
- প্রশাসনিক রদবদল: তফসিল ঘোষণার পর প্রশাসন ঢেলে সাজানো।
- দোষী কর্মকর্তাদের বর্জন: ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারী বিতর্কিত কর্মকর্তাদের দায়িত্ব থেকে বিরত রাখা।
- আইনি ব্যবস্থা: নির্বাচনী সহিংসতা, ভয়ভীতি বা বাধা প্রদানকারীদের বিরুদ্ধে তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া।