Wednesday 29 Oct 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সারাবাংলায় প্রতিবেদন প্রকাশ
সিলেটে করতোয়া কুরিয়ারে ভারতীয় জিরাসহ আটক ১

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
২৯ অক্টোবর ২০২৫ ২০:৫৬ | আপডেট: ২৯ অক্টোবর ২০২৫ ২১:০৪

সিলেটে করতোয়া কুরিয়ারে ভারতীয় জিরাসহ আটক যুবক। ছবি কোলাজ: সারাবাংলা

সিলেট: সারাবাংলায় প্রকাশিত ‘কুরিয়ারে অবৈধ বাণিজ্য: নাম পার্সেল, ভেতরে কী?’ শিরোনামের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে তৎপর হয়েছে প্রশাসন। প্রতিবেদন প্রকাশের একদিন না যেতেই সিলেট মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের অভিযানে করতোয়া কুরিয়ার সার্ভিস থেকে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় জিরা জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় মো. ইব্রাহিম মিন্টু (৪৩) নামে এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সিলেট মহানগরীর দক্ষিণ সুরমা থানাধীন হুমায়ুন রশিদ চত্বর এলাকায় ডিবি পুলিশের বিশেষ দল এ অভিযান চালায়। অভিযানে ৫২ বস্তায় মোট ১ হাজার ৫৬০ কেজি প্যাকেটজাত ভারতীয় জিরা উদ্ধার করা হয়, যার আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় ৭ লাখ ৯৫ হাজার ৬০০ টাকা।

বিজ্ঞাপন

আটক মিন্টু মাদারীপুর জেলার কালকিনি থানার ছিনানঘাটা এলাকার আব্দুস সালামের ছেলে।

ডিবি কর্মকর্তারা জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায়, করতোয়া কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে ভারতীয় পণ্য পাচার করা হচ্ছে। পরে অভিযান চালিয়ে কুরিয়ারের ভেতর থেকে বিপুল পরিমাণ জিরা উদ্ধার করা হয়। এসব পণ্য সীমান্তপথে অবৈধভাবে দেশে আনা হয়েছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: কুরিয়ারে অবৈধ বাণিজ্য: ‘নাম পার্সেল, ভেতরে কী?’

সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার ও মিডিয়া অফিসার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আমরা অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ অবৈধ ভারতীয় জিরা জব্দ করেছি। কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে চোরাচালান হচ্ছে—এমন তথ্য পাওয়ার পর থেকেই আমরা নজরদারি বাড়িয়েছি।’

তিনি আরও জানান, ঘটনাটির বিষয়ে দক্ষিণ সুরমা থানায় মামলা (নং-১৯, তারিখ ২৯/১০/২০২৫) The Special Power Act, 1974–এর ২৫B(1)(B)/২৫(D) ধারায় দায়ের করা হয়েছে এবং আটক ব্যক্তিকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানায়, সাম্প্রতিক সময়ে সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলো দিয়ে ভারতীয় পণ্য পাচারের প্রবণতা বাড়ছে। অনেক ক্ষেত্রে এই অবৈধ ব্যবসার আড়াল হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে জনপ্রিয় কুরিয়ার সার্ভিসগুলো।

প্রশাসন জানিয়েছে, এখন থেকে এসব প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমে কঠোর নজরদারি চালানো হবে এবং অবৈধ পণ্য পরিবহনে জড়িতদের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান অব্যাহত থাকবে।

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর