Tuesday 11 Nov 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

হাসপাতাল থেকে তুলে নেওয়া নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সেই নেতা গ্রেফতার

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১১ নভেম্বর ২০২৫ ২১:০২

নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের মনোহরগঞ্জ উপজেলার সভাপতি ফয়সাল মাহমুদ। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম নগরীতে হাসপাতাল থেকে তুলে নেওয়ার পর টাকা দিয়ে ছাড়া পাওয়া নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সেই নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাকে নগরীর পাঁচলাইশ থানার এক মামলায় ‘তদন্তে প্রাপ্ত’ আসামি হিসেবে দেখানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) সকালে নগরীর গোলপাহাড় এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয় বলে পাঁচলাইশ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ সোলাইমান জানান।

গ্রেফতার ফয়সাল মাহমুদের (৩০) বাড়ি কুমিল্লা জেলার মনোহরগঞ্জ উপজেলায়। নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের মনোহরগঞ্জ উপজেলার সভাপতি ছিলেন। তবে বর্তমানে চট্টগ্রাম নগরীতে বসবাস করেন এবং হেলথ কেয়ার নামে একটি ওষুধ কোম্পানিতে ‘মার্কেটিং সেলস অফিসার’ হিসেবে চাকরি করেন বলে পুলিশ জানিয়েছিল।

বিজ্ঞাপন

গত রোববার (৯ নভেম্বর) রাতে নগরীর পাঁচলাইশে পার্কভিউ হাসপাতালে চিকিৎসকের সাক্ষাতের জন্য যাওয়া ফয়সাল মাহমুদকে ‘মব তৈরি করে’ তুলে নিয়ে যায় একদল যুবক। তাকে একটি মাইক্রোবাসে তুলে রাউজান উপজেলার গহিরায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে রাতভর নির্যাতনের পর প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। পরে তিন দফায় ৬০ হাজার টাকা নিয়ে সোমবার সকালে তাকে ছেড়ে দেয় নগরীর চকবাজারের প্যারেড কর্নার এলাকায়।

এ ঘটনায় পাঁচলাইশ থানা পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতার করেছিল। এরা হলেন- আশরাফুল আমিন (২৯), তারিক আসিফ (২৭) ও শাহাদাত হোসেন শান্ত (২০)। তাদের বিরুদ্ধে ফয়সালের বাবা জসিম উদ্দিন থানায় মামলা করেন। ফয়সালকে তুলে নেওয়ার সময় নেতৃত্বদাতা এক যুবক নিজেকে ‘সমন্বয়ক’ পরিচয় দিয়েছিলেন বলে জানিয়েছিলেন ওসি মোহাম্মদ সোলাইমান।

এর একদিন পর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পাঁচলাইশ থানা পুলিশের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গ্রেফতার ফয়সাল মাহমুদ নগরীর চট্টেশ্বরী রোড এলাকায় গত চার বছর ধরে বসবাস করে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছেন। পাঁচলাইশ থানার একটি মামলায় তাকে তদন্তে প্রাপ্ত আসামি হিসেবে গ্রেফতার করা হয়েছে।

গত ৯ নভেম্বর সকালে নগরীর ষোলশহর এলাকায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ঝটিকা মিছিলে ফয়সাল ছিলেন বলেও পুলিশ তদন্তে পেয়েছে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

সারাবাংলা/আরডি/পিটিএম
বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর