Wednesday 12 Nov 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

দিল্লি বিস্ফোরণকে ‘সন্ত্রাসী হামলা’ বলল ভারত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
১২ নভেম্বর ২০২৫ ২৩:৪৪

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানী নয়াদিল্লির ঐতিহাসিক লাল কেল্লার কাছে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনাকে ‌‘সন্ত্রাসী হামলা’ বলে দাবি করেছে ভারত। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সভাপতিত্বে দেশটির মন্ত্রিসভার উচ্চপর্যায়ের নিরাপত্তাবিষয়ক কমিটির বৈঠকে এই দাবি করা হয়েছে। একইসঙ্গে বিস্ফোরণের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে কমিটি।

বুধবার (১২ নভেম্বর) রয়টার্সের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।

এর আগে সোমবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যার দিকে ঐতিহাসিক লাল কেল্লার কাছে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ওই বিস্ফোরণে অন্তত ১২ জন নিহত ও আরও কয়েক ডজন গুরুতর আহত হয়েছেন।

বুধবার লাল কেল্লা বিস্ফোরণের বিষয়ে আলোচনা করতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সভাপতিত্বে দিল্লিতে দেশটির মন্ত্রিসভার উচ্চপর্যায়ের নিরাপত্তাবিষয়ক কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং-সহ কমিটির অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে লাল কেল্লার কাছে ১১ নভেম্বরের বিস্ফোরণে নিহতদের স্মরণে দুই মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর হামলার নিন্দা জানিয়ে একটি আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব গৃহীত হয়।

সরকারের বিবৃতিতে সোমবারের ওই বিস্ফোরণকে প্রথমবারের মতো ‘সন্ত্রাসী হামলা’ আখ্যা দিয়েছে ভারত। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘দেশবিরোধী শক্তির সংঘটিত এক জঘন্য সন্ত্রাসী হামলা প্রত্যক্ষ করেছে ভারত।’

বিবৃতিতে বিস্ফোরণের ওই ঘটনাকে ‘রাষ্ট্রবিরোধী শক্তিগুলোর পরিচালিত নৃশংস ও কাপুরুষোচিত কাজ’ বলে অভিহিত করা হয়েছে। একইসঙ্গে ভারত সব ধরনের সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতির প্রতি দৃঢ় প্রতিজ্ঞ বলেও বিবৃতিতে পুনর্ব্যক্ত করা হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা নিরীহ মানুষের প্রাণহানির ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করছি এবং নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই। এ ছাড়া ঘটনাস্থলে দ্রুত ছুটে যাওয়া চিকিৎসাকর্মী ও উদ্ধারকারী দলের অসাধারণ নিষ্ঠা ও কর্তব্যপরায়ণতারও প্রশংসা করা হয় বিবৃতিতে।

মন্ত্রিসভা বলছে, হামলার ঘটনার পর বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকার ভারতের প্রতি সংহতি জানিয়েছে। এই ঘটনায় সরকার তদন্ত ‘সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে’ সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছে; যাতে হামলাকারী, তাদের সহযোগী ও পৃষ্ঠপোষকদের দ্রুত শনাক্ত করে বিচারের আওতায় আনা যায়।