তিন ম্যাচের সিরিজ খেলতে পাকিস্তানের এসেছিলেন তারা। তবে পাকিস্তান সফর শেষ না করে মাঝপথেই দেশে ফিরছে শ্রীলংকা দল। ইসলামাবাদে হওয়া বোমা হামলার কারণে সিরিজের শেষ দুই ম্যাচ না খেলেই দেশে ফেরত যাচ্ছেন লংকানরা।
গত মঙ্গলবার পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদের আদালত কমপ্লেক্সের বাইরে আত্মঘাতী বোমা হামলায় ১২ জন নিহত ও ২৭ জন আহত হন। ভয়াবহ এই হামলার স্থান পাকিস্তান–শ্রীলঙ্কার ওয়ানডে সিরিজের ভেন্যু রাওয়ালপিন্ডি স্টেডিয়াম থেকে মাত্র ১৭ কিলোমিটার দূরে।
হামলায় হতাহতের খবর কানে আসার পর আতংক ছড়িয়ে পড়ে পুরো লংকান শিবিরে। তবে লংকান ক্রিকেটারদের অভয় দিতে মঙ্গলবার প্রথম ওয়ানডে চলাকালেই তাদের সঙ্গে দেখা করেন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) চেয়ারম্যান ও দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহসিন নাকভি। তিনি সফরকারীদের নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতি দেন। নিরাপত্তা জোরদার করতে পাকিস্তান সেনাবাহিনী ও দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী রেঞ্জার্সকেও দায়িত্ব দেওয়া হয়।
এসএলসির একটি সূত্র এএফপিকে জানিয়েছে, ‘বৃহস্পতিবার দুই দলের দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচ অনিশ্চিত। তবে শিগগিরই পাকিস্তানে বিকল্প খেলোয়াড় পাঠানো হবে, যেন ত্রিদেশীয় সিরিজ চালিয়ে নেওয়া যায়।’
মঙ্গলবার রাওয়ালপিন্ডিতে ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে লংকানদের ৬ রানে হারায় পাকিস্তান। একই ভেন্যুতে সিরিজের শেষ দুটি ম্যাচ হওয়ার কথা আজ ১৩ নভেম্বর বৃহস্পতিবার ও আগামী ১৪ নভেম্বর, শনিবার।
শুধু শ্রীলংকার বিপক্ষে সিরিজ নয়, এই হামলায় অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে জিম্বাবুয়েকে নিয়ে আয়োজিত হতে যাওয়া ত্রিদেশীয় সিরিজও।
২০০৯ সালের মার্চে লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে টেস্ট ম্যাচ খেলতে যাওয়ার সময় শ্রীলংকা দলের বাসে বন্দুকধারীরা হামলা চালায়। এতে ছয় লংকান ক্রিকেটার আহত হন। ওই ঘটনার পর ৬ বছর পাকিস্তানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট বন্ধ ছিল।