নোয়াখালী: নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় রামপুর ও মুছাপুর ইউনিয়নের মধ্যে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১৮ জন আহত হয়েছে।
শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিম।
এর আগে, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাঞ্চারাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন, উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা মো. আরাফাত (২৫), মো. আশ্রাফ (১৮) মো. সিয়াম (২১), মো. ইমন (২০), মো. সাকিব (২০), মুন্না (১৮), মো. রাহাত (১৮), আরমান (২৩, সোহাগ (৩০) নুরউদ্দিন (৩৩) ও রামপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা জিহাদ (২৬), নভেল (২১), শাওন (২২), রাশেদ (২৭)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের বাঞ্চারাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে বীর মুক্তিযোদ্ধা হামিদুল হক স্বরণে ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজন করে স্থানীয় বাঞ্চারাম স্পোর্টস সোসাইটি। এ টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করে পাশের মুছাপুর ইউনিয়নের মদিনা বাজার উদীয়মান তরুণ সংঘ। খেলার শুরুতেই মদিনা বাজার উদীয়মান তরুণ সংঘের সমর্থকরা খেলার রেফারি রাশেদকে বিতর্কিত দাবি করে প্রত্যাহারের অনুরোধ করেন। খেলার একপর্যায়ে মাঠে একটি থ্রো ফাউল নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়। ওই সময় দর্শক সারি থেকে মদিনা বাজার উদীয়মান সংঘ টিমের একজন সমর্থক মাঠে নেমে প্রতিবাদ করলে রেফারি রাশেদ তাকে চড় মারেন। এ নিয়ে রামপুর ইউনিয়নের অল স্টার টিম ও মুছাপুর ইউনিয়নের মদিনা বাজার উদীয়মান তরুণ সংঘের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষে বেঁধে যায়।
সংঘর্ষে মুছাপুরের ১০ জন ও রামপুর ইউনিয়নের ৮ জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে ২ জন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ৪ জন ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
কোম্পানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিম আরও বলেন, ‘বিষয়টি শুনেছি, ফুটবল খেলা নিয়ে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। লিখিত অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’