ঢাকা: আমার ভাইকে যেভাবে মেরেছে তাদেরকে এভাবেই মেরে বিচার করতে হবে। তাদেরকে মেরে টুকরো টুকরো করতে হবে। আর তা না হলে তাদেরকে ধরে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে বিচার করতে হবে। কথা গুলো বলছিলেন, রাজধানীর শাহবাগ ঈদগাঁহ মাঠ পানির পাম্পের পাশে ড্রাম থেকে উদ্ধার খণ্ডিত আশরাফুল হকের বোন আনজিরা বেগম।
শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গের সামনে নিহত আশরাফুল হকের বোন আনজিরা বেগম এসব কথা বলেন।
আনজিরা বেগম বলেন, ‘আশরাফুল গ্রামের বাড়িতে কাঁচামালের ব্যবসা করতেন। স্ত্রী লাকি বেগম ও দুই সন্তানকে নিয়েই থাকতেন। গত মঙ্গলবার এলাকার বন্ধু জরেজ মিয়ার সঙ্গে ঢাকা যান তিনি। নারায়ণগঞ্জের অন্য লোকের কাছে টাকা আনতে যাওয়ার কথা ছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘আশরাফুলের স্ত্রী লাকী গত বুধবার থেকে স্বামীর ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেছেন। তবে ফোন ধরে জরেজ মিয়া জানাতেন আশরাফুল বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত আছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে স্ত্রী লাকী তার ভাইকে নিয়ে বদরগঞ্জ থানায় গিয়ে জানতে পারেন ঢাকায় ড্রাম থেকে একটি মরদেহ উদ্ধার হইছে। সেই মরদেহ তার স্বামীর কি না খোঁজ নিতে।’
আনজিরা বেগম আরও বলেন, ‘তারা বাড্ডা এলাকায় থাকেন। গতকাল ফেসবুকে আশরাফুলের একটি ছবি ফেসবুকে দেখতে পাই। সঙ্গে সঙ্গে শাহবাগ থানায় যাই। সেখানে গিয়ে ভাই আশরাফুরের খণ্ডিত মরদেহ দেখতে পাই। আশরাফুরের বন্ধু জেরেজকে ধরলে সবকিছু পরিষ্কার হয়ে যাবে। আমার ভাইকে যেভাবে মেরেছে তাদেরকে এভাবেই মেরে বিচার করতে হবে। আর তা হলে ফাঁসিতে ঝুঁলিয়ে বিচার করতে হবে।’
এদিকে শুক্রবার বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয় আশরাফুল হকের। ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিন বিভাগের প্রভাসক ডা. দীপিকা রায়।
এর আগে মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট তৈনি করেন শাবাগ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাজিবুল আলম।
তিনি সুরতহাল রিপোর্টে উল্লেখ করেন, গতকাল সন্ধ্যায় জাতীয় ঈদগাঁ মাঠ সংলগ্ন রাস্তার ওপর থেকে দুটি নীল রংয়ের ড্রাম থেকে ২৬ টুকরো মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এরপর সিআইডি ক্রাইসিন ইউনিট আঙ্গুলের ছাপের মাধ্যমে পরিচয় শনাক্ত করেন। পরে নিহতের বোন আনজিরা বেগম তার ভাইয়ের মরদেহ শনাক্ত করেন।